নয়াদিল্লি:  সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে দেশের প্রথমসারির ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে মহিলাদের ভর্তির হার নিম্নগামী। এর জেরে দেশের সমস্ত আইআইটির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে সম্মানীয় এই ইঞ্জিনিয়ারং প্রতিষ্ঠানগুলিতে মহিলাদের জন্যে ১৪ শতাংশের বিশেষ সংরক্ষণ থাকবে। শনিবার আইআইটির জয়েন্ট অ্যাডমিশন বোর্ড এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে ২০১৪ সালে দেশের আইআইটিগুলোতে ৮.৮ শতাংশ ছাত্রী ভর্তি হয়েছিল। ২০১৫ সালে সেটা সামান্য বেড়ে হয় ৯ শতাংশ। কিন্তু ২০১৬ সালে সেই ভর্তির হার ফের ধাক্কা খায়। এইভাবে মহিলাদের ভর্তির হার কমে যাওয়ায়, জেএবি একটি প্যানেল তৈরি করে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রসঙ্গত, আইআইটিগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা সমান রাখতে তত্পর জেএবি। এমনিতে এখনই আইআইটির প্রবেশিকা পরীক্ষায় মহিলাদের বসার হার পড়তির দিকে। মূলত মহিলাদের জন্যে এই বিশেষ সংরক্ষণ চালুর কারণই হল, তাঁরা যদি সাধারণ ক্যাটাগোরিতে সুযোগ না পান, তাহলে এই বিশেষ কোটার আওতায় তাঁরা অবশ্যই দেশের এই সম্মানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।

এই বিশেষ কোটার মাধ্যমে আইআইটিগুলোতে সুযোগ পেতে হলে, ছাত্রীদের জয়েন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্র্যান্সের অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এছাড়া নিজেদের বোর্ড পরীক্ষায় অন্তত সেরা কুড়ি জনের মধ্যে থাকতেই হবে।

তবে নয়া এই কোটা চালু হলে, ছাত্রদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁদের সিটের সংখ্যা কমবে না। এই বিশেষ কোটায় বাড়তি সিট যোগ করবে আইআইটি কর্তৃপক্ষ।

তথ্য বলছে, শুধু আইআইটি নয়, আইআইএমগুলোতেও গত তিন বছরে ছাত্রীর সংখ্যা নিম্নগামী। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এই প্রবীণ আধিকারিকের দাবি, হয়তো এই বিশেষ কোটা চালু হলে, ছাত্রীদের মধ্যে আইআইটিতে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ বাড়বে।