নয়াদিল্লি: তিনিই দলের সভাপতি। তাই দলের নির্বাচনী প্রতীকের অধিকার তাঁরই। নির্বাচন কমিশনের সামনে এই দাবিই করলেন মুলায়ম সিংহ যাদব।


সাইকেল প্রতীকের দাবির স্বপক্ষে নথি জমার জন্য মুলায়ম ও অখিলেশ দু’পক্ষকে সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই মোতাবেক সোমবার দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী-- অমর সিংহ এবং ভাই শিবপাল সিংহকে নিয়ে কমিশনের দফতরে যান মুলায়ম। সেখানে গিয়ে নেতা-মন্ত্রীদের সমর্থনের হলফনামা দাখিল করেন।


শনিবারই অখিলেশ গোষ্ঠী সেই নথি জমা দিয়েছে। হলফনামায় তারা দাবি করেছে, ২০০ থেকে ২২৯ জন বিধায়কের সমর্থন তাদের সঙ্গে রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক ও সাংসদের সমর্থন নিয়ে অখিলেশ শিবির নিজেদেরই আসল সমাজবাদী পার্টি বলে দাবি করে দলীয় প্রতীকের দাবি জানিয়েছে তারাও।


এই প্রেক্ষিতে এদিন কমিশনে মুলায়ম জানান, তাঁর ছেলে তথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব দুদিন আগে নিজেদের স্বপক্ষে যে হলফনামা দাখিল করেছে, তা জাল। নথিগুলি যাতে খতিয়ে দেখা হয়, সেই অনুরোধও কমিশনকে করে মুলায়ম-শিবির।


সূত্রের খবর, এদিন কমিশনের সামনে মুলায়ম দাবি করেন, তিনিই দলের সভাপতি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, গত ৩০ তারিখ তিনি তাঁর তুতো ভাই রামগোপাল যাদবকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করেন।


এরপর ১ তারিখ, দলের জরুরি জাতীয় অধিবেশন ডাকেন রামগোপাল। সেখানে মুলায়মকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সভাপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় অখিলেশকে। পাশাপাশি, রাজ্য সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় শিবপালকে।


এদিন মুলায়ম কমিশনকে জানান, ৩০ তারিখের পর থেকে রামগোপাল আর সমাজবাদী পার্টির কেউ নন। ফলে, দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, তিনি জাতীয় অধিবেশন ডাকতে পারেন না। কমিশনকে মুলায়ম বোঝানোর চেষ্টা করেন, জাতীয় অধিবেশন অবৈধ। সেখানে নেওয়া সব সিদ্ধান্তই অবৈধ।


যদিও, কমিশনের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের মুলায়ম জানান, দলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ছেলের (অখিলেশ) কোনও দ্বৈরথ নেই। তাঁর দাবি, যে সমস্যা রয়েছে, তা ভীষণই ছোট। খুব শীঘ্রই তার সমাধান হবে।


তবে, নাম না করে তুতো ভাই রামগোপাল যাদবকে ‘সমস্যার মূল কারণ’ হিসেবে উল্লেখ করেন মুলায়ম। বলেন, অখিলেশকে একজন বিপথে চালিত করছে। প্রসঙ্গত, অখিলেশের মেন্টর এখন তুতো কাকা রামগোপাল যাদব। কিন্তু, দলীয় প্রতীক কে পাবে? উত্তরে, মুলায়ম ছিয়াত্তর বছরের এই প্রবীণ সপা নেতা জানান, সেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।