এদিকে আয়েশার অভিযোগ, ইমরানের দলে মহিলাদের কোনও সম্মান দেওয়া হয় না। তার প্রতিবাদেই তিনি দল ছাড়ছেন। এমনকি ইমরানের বিরুদ্ধে অশালীন মেসেজ পাঠানোর বিস্ফোরক অভিযোগও এনেছেন আয়েশা। মহিলা রাজনীতিবিদের দাবি, ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে তাঁকে নানা ধরনের অশালীন মেসেজ পাঠাচ্ছেন ইমরান। কোনও মহিলার যাঁর সামান্য সম্মান রয়েছে, কেউই মেসেজে যেধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা সহ্য করতে পারবেন না। আয়েশার অভিযোগ ইমরান হয়তো ভাবেন পাকিস্তান ইংল্যান্ড। তাই সেই অভ্যাস থেকেই তিনি এধরনের আচরণ মহিলাদের সঙ্গে করে থাকেন।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টিতে মা-বোনেদের কোনও সম্মান নেই। কারণ এই দলের চেয়ারম্যানই একজন চরিত্রহীন মানুষ। এমনকি ইমরানের শরীরে আসল পাঠানের রক্ত নেই বলেও অভিযোগ তুলেছেন আয়েশা। এখানেই থামেনি আয়েশার অভিযোগের পাহাড়। তাঁর কথায় ইমরান দলের মধ্যে অন্য কোনও প্রতিভাবান মানুষ থাকলে তাঁকে সহ্য করতে পারেন না। মহিলা এই রাজনীতিবিদের দাবি, দেশের শীর্ষ আদালত যেন ইমরানের বিরুদ্ধে তাঁর তোলা এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে।
এদিকে পার্টিরই প্রবীণ সদস্য শিরিন মাজারি গুলালির সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি তুলেছেন, ইমরানের দলে মহিলাদের যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়। আর এধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্যে কোনও তদন্তের প্রয়োজন নেই।