নয়াদিল্লি: দেশের প্রথম প্রস্তাবিত বুলেট ট্রেনে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক শৌচাগার রাখার পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। বুলেট ট্রেনের যে চূড়ান্ত নকশা তৈরি করেছে জাতীয় উচ্চগতি রেল নিগম, তাতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে, দেশের কোনও ট্রেনেই মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। প্রতি কোচে চারটি করে শৌচাগার থাকে, যা ভাগাভাগি করে নেন যাত্রীরা। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচাগার ছাড়াও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে বিশেষ শৌচাগারের ব্যবস্থাও থাকবে।
নকশা অনুযায়ী, বুলেট ট্রেনে আরও একটি বিশেষ সুবিধা সংযোজন করার ভাবনাচিন্তা করছে রেল। যেমন, ট্রেনে পোশাক বদল বা স্তন্যপানের জন্য বিশেষ ঘর থাকবে। সেখানে, শিশুদের জন্য উপযোগী শৌচাগার, ডায়পার ফেলার বিশেষ জায়গা এবং হাত ধোয়ার জন্য নিচু বেসিন রাখা থাকবে।
অন্যদিকে, অসুস্থ যাত্রীদের জন্যও থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। ট্রেনে ফ্রিজার ও হট কেস থাকবে। এমনকী চা ও কফি তৈরি করার মেশিনের পাশাপাশি, জল গরম করার ব্যবস্থাও রাখা থাকবে। প্রতিটি কোচে এলসিডি স্ক্রিন থাকবে, যেখান থেকে যাত্রার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে পারবেন যাত্রীরা।
নকশা অনুযায়ী, প্রতিটি ট্রেনে বিজনেস শ্রেণিতে ৫৫টি এবং সাধারণ শ্রেণিতে ৬৯৫টি আসন থাকবে। প্রত্যেকটি আসনে অ্যাডজাস্টেবল হেডরেস্ট থাকবে। আসন ‘রিক্লাইন’ করতেই আপনা-আপনি সিট স্লাইড মেকানিজম চালু হয়ে যাবে। ফলত, যাত্রীদের সুবিধা হবে। রেল সূত্রে খবর, বুলেট ট্রেনে যাত্রীদের জন্য পৃথক লাগেজ স্পেস বা মালপত্র রাখার জায়গার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। অসুস্থ ও সদ্য মা হওয়া মহিলাদের সুবিধার্থে প্রতি ট্রেনে একটি মাল্টি-পার্পোজ রুম থাকবে। যেখানে, একটি ফোল্ডিং বেড, ব্যাগেজ র্যাক, আয়না থাকবে।
আগামী ২০২৩ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধের বুলেট ট্রেন তার যাত্রা শুরু করবে বলে আশাবাদী রেলমন্ত্রক। প্রথম শুরু হওয়ার কথা মুম্বই ও আমদাবাদের মধ্যে। দুই শহরের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটারের দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগবে প্রায় ২ ঘণ্টার কিছু বেশি।