মঙ্গলবার, একটি ছয় মিনিটের ভিডিও প্রকাশ করে জঙ্গিগোষ্ঠী। সেখানে শীর্ষ নেতা বুরহানকে দেখা যাচ্ছে সাদা টি-শার্ট পরে চেয়ারে বসে থাকতে। তার পা চাদরে মোড়া। দুপাশে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক রাখা।
সেখানেই নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর হামলা করা হবে বলে হুমকি দেয় ২১ বছরের বুরহান ওয়ানি। ওয়ানিকে বলতে দেখা যায়, গতমাস থেকেই আমরা বহু পুলিশকর্মী এবং সেনা জওয়ানদের ওপর হামলা চালিয়েছি। পুলিশকর্মীরা আমাদেরই। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ওরাই আমাদের বাধ্য করছে হামলা করতে।
গতবছর আমরা পুলিশকে সতর্ক করেছিলাম, তারা যেন আমাদের ওপর কোনও ব্যবস্থা না নেয়। কিন্তু, ওরা আমাদের কোনও কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করেই চলেছে। এখানকার যুবকদের হয়রান করছে। বুরহানের হুমকি, এখন আর কোনও সতর্কবাণী নয়, সব উর্দিধারীদের ওপর হামলা চলবে।
ভিডিও বার্তায় পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যে হুমকির সুরে বুরহান বলে, যদি কোনও পুলিশকর্মী নিজের প্রাণ ভালবাসেন, তাহলে নিজের কর্তব্য কেবল থানা এবং শিবিরের মধ্যেই পালন করবেন। পুলিশ কখনই চেকপোস্ট খাড়া করবে না, যুবকদের হয়রান করবে না এবং আমাদের ওপর হামলা চালাবে না। বুরহানের দাবি, যে এর অন্যথা করবে, সে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে।
হামলা হবে সৈনিক কলোনিতেও। বুরহানের জানায়, ভারতীয় সেনা হল তাদের পয়না নম্বর শত্রু। তাই সেনার কোনও প্রতিষ্ঠানকেই উপত্যকায় থাকতে দেবে না তারা। সম্প্রতি, কাশ্মীরে কেন্দ্র সৈনিক কলোনি গড়ে তুলতে চাইছে বলে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়। যার জেরে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় তোলপাড় হয়।
শুধু উর্দিধারীই নন, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য প্রস্তাবিত কলোনির ওপর হামলা চলবে বলেও হুমকি দিয়েছে হিজবুল-কম্যান্ডার। বুরহানের দাবি, যাঁরা (পণ্ডিত)-রা বাইরে রয়েছে, তাঁদের বসত-জায়গাজমি যেখানে আছে, তাঁরা সেখানেই থাকতে পারেন। তাঁদের নিরাপত্তা দেবে হিজবুল! কিন্তু ইজরায়েলের ধাঁচে কাশ্মীরে পণ্ডিতদের জন্য যে পৃথক কলোনি গড়ে তোলার কথা ভাবছে কেন্দ্র, তা মানা হবে না। সেখানে হামলা হবে।