নয়াদিল্লি: অবশেষে বহু বিতর্কিত কাবেরী নদীর জলবণ্টন মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। তামিলনাড়ুর জলের ভাগ তারা কমিয়ে দিয়েছে, কর্নাটক পেতে চলেছে আরও বেশি জয়। মনে করা হচ্ছে, এই রায় রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র সহ ৩ বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, নদী কোনও নির্দিষ্ট রাজ্যের হয় না, তাই রাজ্যগুলিকে নদীর জল ভাগাভাগি করেই নিতে হবে।

দক্ষিণ কর্নাটকের কোদাগু এলাকা কাবেরী নদীর উৎস। তারপর তা বয়ে যাচ্ছে তামিলনাড়ু, কেরল ও পন্ডিচেরীতে। এতদিন কর্নাটক তামিলনাড়ুকে ছাড়ত ১৯২ থাউজ্যান্ড মিলিয়ন কিউবিক ফিট বা ১৯২ টিএমসিফিট জল, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী এবার থেকে তাদের ছাড়তে হবে ১৭৭.২৫ টিএমসিফিট। কেরল আগে যা পেত তাই পাবে। কর্নাটক পাবে অতিরিক্ত ১৪.৭৫ টিএমসি জল।

কর্নাটক বিধানসভা ভোটের মাত্র ক’মাস আগে এই রায়, ফলে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দল ভোটের বাজারে এর ফায়দা তোলার চেষ্টা করতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে কর্নাটক সরকার, উল্টোদিকে তামিলনাড়ু বলেছে, রায় খতিয়ে দেখে মতামত জানাবে তারা।

২০০৭-এ কাবেরী ওয়াটার ডিসপিউটস ট্রাইবুন্যাল জানায়, লোয়ার কোলেরুন আনিকাট এলাকায় কাবেরী অববাহিকায় মোট জলের পরিমাণ ৭৪০ টিএমসিফিট। এর মধ্যে প্রাকৃতিক কারণে ১৪ টিএমসিফিট জল থাকা জরুরি। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় তামিলনাড়ু ও কর্নাটক। তামিলনাড়ু বলে, জল চুক্তিতে কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনতে ও কাবেরী ম্যানেজমেন্ট বোর্ড তৈরি করতে। উল্টোদিকে কর্নাটক বলে, অববাহিকায় জল কতটা আছে তাতে গুরুত্ব না দিয়ে যেভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ছাড়তে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে তা পুরোপুরি বেঠিক। এ যেন ভগবানকে বলা হচ্ছে, রাজ্যে বেশি করে বৃষ্টি দিতে।