নয়াদিল্লি: বিহারের বৈশালীর স্নেহা সিংহের ডিভোর্স চাওয়ার কারণ শুনলে আপনি চমকে উঠবেন। ভাববেন, এমন কারণেও কোনও স্ত্রী স্বামীর কাছে ডিভোর্স চাইতে পারে?
স্বামী এলাকার শব্দ দূষণ বন্ধন করতে পারেননি বলে বিবাহ বিচ্ছেদ চান স্নেহা।
হাজিপুরে যে তিন নম্বর রোডে তাঁর শ্বশুরবাড়ি, তার আশপাশে পুজোপার্বণ উপলক্ষ্যে অনবরত লাউডস্পিকার বেজে চলে বলে স্নেহার অভিযোগ। তাঁর দাবি, এলাকার কিছু লোক বাসিন্দাদের উত্যক্ত করে তুলতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অজুহাতে জোরে সারাক্ষণ মাইক বাজিয়ে চলে। বারবার তাঁদের শব্দের অত্যাচার বন্ধের জন্য আবেদন, নিবেদন করেও লাভ হয়নি। স্নেহা জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। তারা কিছুই না করায় হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি লিখিত আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও। কিন্তু কোনও জায়গা থেকেই সাড়া না মেলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও আবেদন করেন। পরিণাম হয় একই।
শেষমেষ স্নেহা কাঠগড়ায় তুলেছেন স্বামী রাকেশ সিংহকে। চার বছর আগে প্রেম করেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। রাকেশ শারীরিক প্রতিবন্ধী। এককালে নামী ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার ছিলেন। রাকেশ শব্দদূষণের অত্যাচার বন্ধে উদ্যোগী হননি বলে অভিযোগ তুলে স্নেহা বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে বলেছেন, যে পুরুষ স্ত্রীকে যে কোনও অত্যাচার থেকে সুরক্ষা দিতে পারেন না, তাঁর সঙ্গে ঘর করতে হবে, এ তিনি ভাবতেই পারছেন না!
রাকেশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকেই দুষেছেন। বলেছেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি, বিবাদে জড়িয়ে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই।
এই অবস্থায় দুই পরিবারের লোকেরা স্নেহাকে বোঝাচ্ছেন, এরকম একটা কারণে তিনি যাতে বিচ্ছেদ চেয়ে অনড় না থাকেন।
স্নেহা মাইকের দাপটের প্রতিবাদ করায় কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের বাড়িতে ইট-ঢিল ছুঁড়েছে বলেও অভিযোগ। পুলিশকে জানালেও তারা কিছুই করেনি বলে জানিয়েছে পরিবারটি।