নয়াদিল্লি: অসুস্থতার কারণে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর অনুপস্থিতিতে এই প্রথমবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের নেতৃত্ব দিলেন দলের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী।


কংগ্রেস সহ সভাপতি তাঁর বক্তব্যের শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মোদী সরকারকে একহাত নেন। তিনি বলেন, এইমুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকার এত বেশিই ক্ষমতালোভী হয়ে গিয়েছে, যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা যদি তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন, তাহলে তার ওপর তত্ক্ষণাত্ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেওয়া হচ্ছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আজ মত প্রকাশের কোনও স্বাধীনতাই নেই, ক্ষোভ রাহুলের। কংগ্রেস সহ সভাপতির মতে রাষ্ট্র এখন গণতন্ত্রের সবচেয়ে অন্ধকারময় পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পঠানকোট হামলার সময় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগে একদিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে একটি সর্বভারতীয় হিন্দি নিউজ চ্যানেলের ওপর। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের যদি খবর প্রকাশের এই স্বাধীনতা না থাকে, তাহলে এই দেশে মৌলিক অধিকারের অস্তিত্বই সঙ্কটে, বৈঠকে মত কং সহ সভাপতির।

এমনকি মোদী সরকারকে এক পদ এক পেনশন বিতর্ক নিয়েও বিঁধতে ছাঁড়েননি রাহুল। সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে মোদী সরকারের দুমুখো নীতিই যে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছে, সেকথাও উল্লেখ করেন রাহুল। এমনকি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের চরম পদক্ষেপ যে কাশ্মীর সমস্যা আরও জটিল করছে সেকথাও বৈঠকে দাবি করেন রাহুল।

আজকের বৈঠকে কংগ্রেসের আগামী কর্মসূচী নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কারণ সামনেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচার কী হবে, কৌশলগত বিভিন্ন পদক্ষেপ সব নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা আছে আজকের বৈঠকে। এছাড়াও সংসদে এমাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে শীতকালীন অধিবেশন। সেখানে কংগ্রেসের কৌশল কী হবে, সেনিয়েও হবে বিস্তারিত আলোচনা।

এছাড়া, কংগ্রেসের ভেতরে বহুদিন দাবি ছিল, এবার কংগ্রেসের নেতৃত্ব সনিয়া গাঁধীর থেকে হাত থেকে আসুক রাহুল গাঁধীর অধীনে। সেনিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে আজকের বৈঠকে। তবে রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে দলের ভেতর দ্বিমতও আছে।