বারাণসী:  বারাণসীর বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরী, যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে, তারা কেউই সঠিকভাবে সময় বলতে পারে না। সেখানকার বেশিরভাগ পড়ুয়া জানেই না ভারতের রাজধানীর নাম। সম্প্রতি অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল মোদীর কেন্দ্র। সেই সমীক্ষা থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বারাণসীর ৭৪ শতাংশ পড়ুয়া যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৮-র মধ্যে, তারা প্রত্যেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও, ১০ জনের মধ্যে ৪ জন সঠিক ভাবে গুণ, ভাগ করতে পারে না। ৭৮ শতাংশ কিশোর কোনওরকমে যোগ-বিয়োগ করে। ২০ শতাংশ নিজের রাজ্যের নাম জানে না, ৮০ শতাংশ পড়ুয়াই নিজের রাজ্যকে ম্যাপে দেখালে চিহ্নিত করতে পারে না। শুধু একটা ভাল খবর, ৯১ শতাংশ ভারতের ম্যাপ চিহ্নিত করতে পেরেছে। ওই বয়সের বাচ্চাদের মধ্যে ১২.০৭ শতাংশ এখনও কোনও স্কুলেই পড়ে না।

এএসইআর-এর সমীক্ষায়, দেখা গিয়েছে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে সেখানে স্কুলে পড়ে ৮২.০৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরী। সেখানে জম্মু কাশ্মীরের বুদগামে সেই শতাংশের হার ৮৬.০২ । হরিয়ানার সোনপতে স্কুলে পড়ার হার ৮৩.০৬ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেহরাদুনে ৮৪.০৪ শতাংশ বাচ্চা স্কুলে যায় ওই বয়সের মধ্যে।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বারাণসীর ৫১.০৭ শতাংশ কিশোর বাইরের কাজ করে। উদয়পুরে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কিশোর বাইরের কাজের সঙ্গে যুক্ত খুব অল্প বয়স থেকেই।

কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রচারে যতই গলা ফাটাক, মোদীর কেন্দ্রের ৬২ শতাংশ তরুণ এখনও কম্পিউটার ব্যবহারই করতে পারে না। ৬৭.০৩ শতাংশ ইন্টারনেট সম্পর্কে ওয়াকিবহালও নয়। ওই শহরের মাত্র ৫৫ শতাংশ তরুণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, ১১.০৩ শতাংশ এটিএম ব্যবহার করে। মাত্র তিন শতাংশ জানে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং সম্পর্কে।