নয়াদিল্লি:  রাত পোহালেই সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। মধ্যবিত্তদের জন্য এবারের বাজেটের পসরায় কী সম্ভার নিয়ে এসেছে মোদী সরকার, তা জানা যাবে বৃহস্পতিবারই।


তবে, সূত্রের খবর, মধ্যবিত্ত চাকুরীজীবীদের কথা মাথায় রেখে আয়করে ছাড়ের পরিমাণ বাড়াতে পারে কেন্দ্র। জানা যাচ্ছে, করমুক্ত আয়ের ঊর্ধ্বসীমা বর্তমান আড়াই লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করতে পারে মোদী সরকার।


সূত্রের খবর, ইনকাম ট্যাক্স স্ল্যাব বা আয়কর কাঠামোতেও পরিবর্তন আনতে পারেন জেটলি। যেমন— বর্তমানে আড়াই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা আয়ভুক্তদের পাঁচ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। নতুন স্ল্যাবে তা বেড়ে তিন থেকে ৫ লক্ষ করা হতে পারে। একইভাবে, ৫ থেকে ১০ লক্ষ আয়ভুক্তদের ২০ শতাংশ এবং ১০ লক্ষের বেশি আয়ভুক্তদের ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হতে পারে।


আয়করের পাশাপাশি বিনিয়োগের ছাড়ের সীমা বৃদ্ধিও করতে পারে মোদী সরকার বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণত, জীবন বিমা থেকে এনএসসি, ইপিএফ, পিপিএফ-- এ সবে বিনিয়োগ করলে আয়করের ৮০ সি ধারায় আয়করে ছাড় মেলে। সর্বোচ্চ ছাড় দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার সেই ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ২ লক্ষ করার ঘোষণা করতে পারেন জেটলি।


এছাড়া, কোম্পানি করের হার বর্তমান ৩০-৩৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫-২৮ শতাংশ করার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের বাজেটে কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়াতে পারে কেন্দ্র।


পাশাপাশি, অধিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বড় পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ বাড়তে পারে। গতকাল, সংসদে যে আর্থিক সমীক্ষা পেশ করা হয়েছিল, সেখানেও যুব সম্প্রদায়ের জন্য অধিক কর্মসংস্থানের কথা ঘোষণা করা হয়।


অন্যদিকে, আগামীকাল বাজেটে পেট্রোল-ডিজেলের ওপর এক্সাইজ ডিউটি বা আবগারি শুল্ক কমাতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার বলেও মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের মূল্য ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম আকাশচুম্বী। এই গতিতে রাশ টানতে এক্সাইজ ডিউটিতে কাটছাঁট করতে পারে কেন্দ্র।


 গত বার থেকে আর আলাদা করে রেল বাজেট পেশ করা হচ্ছে না। সাধারণ বাজেটের দিনই রেলের জন্য বরাদ্দ ঘোষণা করছে মোদী সরকার। সাধারণ মানুষের অবশ্য একটাই প্রশ্ন। এবারের বাজেটে ট্রেনের যাত্রী ভাড়া মোদী-সরকার কমাবে কি না, সেই দিকেই সকলের নজর থাকবে।


গত বছর দেশের নানা প্রান্তে একের পর এক রেল-দুর্ঘটনা গটেছে। সুরেশ প্রভুকে সরিয়ে রেলমন্ত্রী করা হয়েছে পীযূষ গোয়েলকে। এই প্রেক্ষাপটে, রেলের যাত্রী সুরক্ষায় কতটা জোর দেবে কেন্দ্র, তাও কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।