নয়াদিল্লি: সংসদে ২০২০-২১ এর বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন যে, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ ব্যাপার একটি টাক্স ফোস্ক গঠনের কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ছয় মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে রিপোর্ট জমা পড়বে।
এদিন ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতির উদ্দেশে ভাষণেও উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। মহিলাদের ক্ষমতায়ন সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেয়েদের বিয়ের ন্যুনতম বয়স পুণর্বিবেচনার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট জমা পড়লে এ বিষয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।




প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মহিলাদের নিয়োগ ও স্বনিযুক্তির ক্ষেত্রে সমঅধিকার প্রদানে সংকল্পবদ্ধ দেশ। এখন দেশের মহিলারা যুদ্ধবিমান চালিয়ে আকাশ স্পর্শ করছেন।
বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, পুষ্টির মাত্রা সংক্রান্ত একাধিক দিক উন্নয়ণের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ভারতে মহিলাদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সের সীমা ইংরেজ আমলে ১৯২৯-এ সারদা আইনের মাধ্যমে স্থির করা হয়েছিল। তখন মহিলাদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৪ ও পুরুষদের ন্যূনতম বয়স ১৮ করা হয়েছিল। এরপর ১৯৪০ ও পরে ১৯৭৮-এ ওই আইনে বদল ঘটানো হয়। ১৯৭৮-এ বিয়ের ন্যূনতম বয়স মহিলাদের ভেত্রে ১৮ ও পুরুষদের ক্ষেত্রে ২১ করা হয়েছিল। ২০০৬-এ ওই আইনের জায়গায় আসে বাল্যবিবাহ আইন প্রতিরোধ আইন।