নয়াদিল্লি: দিল্লি বুঝিয়ে দিল চিনের চাপসৃষ্টির কৌশলে পিছু হঠবে না তারা।

কেন্দ্র বলেছে, ডোকা লা নিয়ে চিন-ভারত যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে তার অবশ্যই কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব, ভারতও সেটাই চায়। কিন্তু সে জন্য চিনা সেনাকে তারা আগে যেখানে ছিল সেখানে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। তারা এখন ভুটানের স্থলসীমায় ঢুকে পড়েছে, অন্য দেশের জমিতে তাদের ঢোকা উচিত নয়। এটা ভারতের নিরাপত্তাগত উদ্বেগ আর এ বিষয়ে এই হল ভারতের অবস্থান।

ভুটানও অভিযোগ করেছে, চিন তাদের এলাকায় রাস্তা তৈরি করে অঞ্চলের স্থিতাবস্থা বদলে দিতে চাইছে। সেই বিবৃতির প্রসঙ্গ তুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভামরে বলেছেন, শুধু কূটনৈতিক স্তরেই এই সমস্যা মেটানো যায়। ভুটানের উদ্বেগ বুঝতে হবে।

এর আগের দিনই ভারতে কর্মরত চিনা রাষ্ট্রদূত লুও ঝাহুই মন্তব্য করেন, ভারত যদি বিনা শর্তে ডোকা লা থেকে সেনা সরিয়ে নেয়, তাহলেই বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব।

ভুটানের ডোকা লা এলাকা তাদের বলে দাবি করে আসছে চিন। জুনের মাঝামাঝি থেকে তারা ওখান থেকে জোম্পলি শৈলশ্রেণি পর্যন্ত একটি গাড়ি চালানোর মত রাস্তা তৈরি করা শুরু করে। তখনই তাদের বাধা দেয় ভারতীয় সেনা। এখন ওই এলাকায় বাঙ্কার খুঁড়ে দু’দেশের সেনা মুখোমুখি।

ভারত মনে করে, ডোরা লা মালভূমি বিশেষত ওই জোম্পলি শৈলশ্রেণি প্রতিরক্ষাগতভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা। কারণ এখান থেকে খুব সহজে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব ভারতের চিকেনস নেক শিলিগুড়িতে, যা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির একমাত্র সংযোগস্থল।

উল্টোদিকে চিন দীর্ঘদিন ধরে ডোকা লা দখলে পরিকল্পিতভাবে একটু একটু করে এগোচ্ছে। সিকিম ও ভুটানের মাঝখানে ছুরির মত ঝুলে থাকা চাম্বি উপত্যকার কৌশলগত অবস্থান শক্তপোক্ত করতে চায় তারা।