গত ৫ বছরে দেশে ২৩৯ বিলিয়ন ডলার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে বলেও দাবি করেন গয়াল। বলেন, দেশে স্থায়ী সরকার আছে, যারা কী ধরনের নিয়ন্ত্রণমুখী পদক্ষেপ করবে আগাম বোঝা যায়, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি চালু আছে, যার বুনিয়াদ অত্যন্ত মজবুত। এরই ফলশ্রুতিতে বিপুল এফডিআই এসেছে। তিনি আরও বলেন, এই সময়কালে এফডিআই নীতিরও দ্রুত উদারীকরণ হয়েছে, যাতে বেশিরভাগ এফডিআই অটোমেটিক রুটে আসার ছাড়পত্র পেয়েছে।
সিঙ্গল ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসা, প্রতিরক্ষা, বিমান, ফুড প্রসেসিংয়ে বিদেশি বিনিয়োগের নিয়মকানু শিথিল করেছে বলেও জানান তিনি। বলেন, সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়া ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আছে পরিষেবা, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, টেলিযোগাযোগ, ট্রেডিং, নির্মাণ, অটোমোবাইল ও বিদ্যুত্। যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, সেগুলির মধ্যে আছে সিঙ্গাপুর, মরিশাস, আমেরিকা, জাপান, নেদারল্যান্ডস। একাধিক সেক্টরে যেমন অটোমেটিক রুটে অনুমোদন আসছে, তেমনই কয়েকটি ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। উন্নয়ন চাঙ্গা করতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের জন্য আগামী বছরগুলিতে প্রচুর পরিমাণে এফডিআই চাই। বিদেশি বিনিয়োগ ভাল থাকলে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে ভারসাম্য ও টাকার দাম ধরে রাখায় সুবিধা হয়।