ভিসা বাতিল হওয়ায় চিনের হাত দেখছেন ডোলকুনও।
জার্মানির বাসিন্দা, ওয়ার্ল্ড ইউঘুর কংগ্রেস (ডব্লুইউসি) সংগঠনের এই নেতা আমেরিকার ‘ইনশিয়েটিভস ফর চায়না’ সংস্থার পরিচালনায় ধরমশালায় হতে চলা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে সেখানে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ায় প্রবল আপত্তি জানায় চিন। তাদের অভিযোগ, মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতা তিনি। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চ্যুনিয়াংই বলেন, আমি এটাই নির্দিষ্ট করে বলতে চাইছি যে, ডোলকুন ইন্টারপোল ও চিনা পুলিশের লাল তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী। তাঁকে বিচার করে সাজা দেওয়া সংশ্লিষ্ট সব দেশেরই দায়িত্ব।
ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘে পঠানকোট জঙ্গি হামলার মাথা জয়েশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণায় ভারতের উদ্যোগ ভেস্তে দিয়েছে চিন। তার পাল্টা হিসাবেই ডোলকুনকে ভারত ধরমশালা সফরের অনুমতি দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছিল।
ডোলকুন বলেছেন, ২৩ এপ্রিল ভারতের পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত নোটিস দিয়ে আমার ভিসা বাতিল হয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। হতে পারে, চিনের চাপেই এমনটা হল। তবে আমি ভারত সরকারের তরফে কোনও ব্যাখ্যা পাইনি।