উজিরে (কর্নাটক): কেন্দ্রের সাধের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’-র সমালোচকদের একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানালেন, ডিজিটাল মুদ্রার যুগে ভারত পিছিয়ে থাকতে পারে না।


রবিবার, মঙ্গালুরু থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ কন্নড় জেলার উজিরেতে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, ডিজিটাল মুদ্রার যুগ শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতের উচিত নয় পিছিয়ে থাকা। তিনি জানান, বাজারে বেশি নগদ থাকলে দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে, ডিজিটাইজেশনের ফলে স্বচ্ছতা বাড়বে।


ডিজিটাল লেনদেন নিয়ে যারা সমালোচনায় মুখর হয়েছেন, তাঁদের ‘তিস মার খান’ বলে কটাক্ষ করেন মোদী। বলেন, গত নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সংসদে বেশ কিছু ‘তারকা’ বক্তৃতা দেন। তাঁরা ডিজিটাল লেনদেনের প্রবল সমালোচনা করেন।


প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ, আপনারা যদি তাঁদের বক্তব্য না শুনে থাকেন, তাহলে একবার শুনবেন। এই তারকারা নিজেদের তিস মার খান মনে করেন। ভাব দেখান সকলেই জ্ঞানের ভাণ্ডার। তাঁদের মতে, ভারতে গরিবি, শিক্ষার অভাব রয়েছে। ফলে, কী ভাবে ডিজিটাল লেনদেন এদেশে কাজ করবে।


প্রধানমন্ত্রী জানান, সময় বদলাচ্ছে। তার সঙ্গে বদল হচ্ছে টাকার ধরনে। বলেন, একটা সময়ে সবকিছুই পাথর ছিল। তারপর এক এক করে এল চামড়া, সোনা-রুপো, গয়না, কাগজ ও প্লাস্টিক। এখন ডিজিটাল লেনদেনের যুগ।


প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, কেন্দ্রের প্রত্যেক টাকা যাতে দেশবাসীর কল্যাণে ব্যবহৃত হয় এবং প্রকৃত স্বত্বাভোগীরা য়াতে উপকৃত হন, তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট সরকার। মোদীর জবাব, কেন্দ্রের প্রচেষ্টায় ৫৭ হাজার কোটি টাকার বেআইনিভাবে হস্তান্তর হওয়া আটকানো সম্ভব হয়েছে।


এই প্রসঙ্গে, নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকেও একহাত নেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কেন্দ্র থেকে ১ টাকা বেরোলে, তা গ্রামে পৌঁছতে পৌঁছতে ১৫ পয়সায় গিয়ে দাঁড়ায়। তাঁর প্রশ্ন, এবার জানতে চাই, কাদের কাছে পৌঁছত এই ৫৭ হাজার কোটি টাকা। মোদীর দাবি, এই কারণেই অনেকে মোদীকে অপছন্দ করেন। কারণ, তাঁদের কাছে টাকা আর যাচ্ছে না।