বিদেশমন্ত্রকের এক মুখপত্রের দাবি, যেখানে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক ভাবে তালিবানদের ঢোকানোর কথা ভাবা হচ্ছে, সেখানে অবশ্যই কিছু বিষয় সকলকে মনে রাখতে হবে। প্রথমেই সন্ত্রাসবাদকে বিদায় জানাতে হবে তালিবানকে, আল কায়দার সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করতে হবে তালিবানকে। যেকোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যা ভূমিকা সেটা পালন করতে হবে তালিবানকে। এবং কোনওভাবেই এমন কোনও কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবে না তালিবানরা, যার প্রভাবে গত ১৫ বছরের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ভারতের তরফে রাশিয়াকে দেওয়া এধরনের হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ, রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। কিন্তু সম্প্রতি মস্কোর আফগান নীতিতে অখুশি নয়াদিল্লি। তাই এই হুঁশিয়ারির বার্তার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ সরূপ ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বিশেষ সম্পর্কের কথা একাধিকবার মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি একথাও বলেছেন, মস্কোর সাম্প্রতিক এই নীতিতে ভারত বিরক্ত হলেও, এই দুই রাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য এই সপ্তাহের শেষের দিকে আফগান পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার সময় রাশিয়ার প্রতিনিধি অ্যালেক্সান্ডার ম্যানটিটস্কি বলেন, তালিবানরা জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়ছেন, কিন্তু আইএস সারা দুনিয়ার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালাচ্ছে। এমনকি আইএস-এর বাড়বাড়ন্ত মধ্য এশিয়ায় অচলাবস্থা সৃষ্টির অন্যতম কারণ বলে মনে করে রাশিয়া।
এমনকি ইরানও ওই একই কারণে তালিবানকে সমর্থন করছে, আইএস-এর বাড়বাড়ন্ত আফগান মাটিতে রুখতে। যদিও আন্তর্জাতিক মহলে তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। কিন্তু আফগানিস্তানের কিছু সরকারি আধিকারিকের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইরান শুধুমাত্র তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগই রাখছে না। তালিবানের বহু নেতাতে তেহেরানে আশ্রয় দিচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় উন্নতমানের অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করা হচ্ছে, এর জেরে আফগানিস্তানের অন্দরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।