নয়াদিল্লি: ডোকালাম ইস্যুতে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বসা সত্ত্বেও কোনও কোনও সমাধানে পৌঁছতে পারল না ভারত ও চিন।
সীমান্তে সংঘাতের পরিস্থিতি প্রশমনে শুক্রবার সিকিমের নাথু লা-তে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বসেছিলেন দুদেশের শীর্ষ সামরিক কর্তারা। বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মেজর জেনারেল পদমর্যাদার অফিসাররা। সূত্রের খবর, সেখানে ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, সেনা প্রত্যাহার করতে হলে তাহলে একসঙ্গে দুই দেশকেই করতে হবে।
গতকালই, সংবাদসংস্থা পিটিআই জানায়, চিন সীমান্ত লাগোয়া সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে সেনা মোতায়েন প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি করেছে ভারত। মূলত, এরপরই ভারত-চিনের এই সীমান্ত বৈঠক বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এই বৈঠকের আগে গত ৮ তারিখ ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার সামরিক অফিসারদের বৈঠকও বসেছিল। সেই বৈঠকের কোনও মীমাংসা বের না হওয়ায় এবার উচ্চতর পদের বৈঠকের আহ্বান করা হয়। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ৮ তারিখের বৈঠকেও সেনা প্রত্যাহার করার জন্য ভারতের ওপর চাপসৃষ্টি করছিল চিন। তাদের দাবি ছিল, অবিলম্বে ভারতকে ডোকালাম থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে।
সীমান্তে শান্তি ও স্থিথাবস্থা বজায় রাখতে এবং পারস্পরিক সমস্যা সমাধানে মাঝেমধ্যেই এধরনের বর্ডার পার্সোনেল মিটিং (বিপিএম) করে থাকে ভারত ও চিন। সাধারণত, পাঁচটি জায়গায় এই বৈঠক হয়ে থাকে। সেগুলি হল—উত্তর লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি, অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু, লাদাখের চুলসুল, অরুণাচলের তাওয়াংয়ে বাম-লা এবং সিকিমের নাথু লা।