বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ডোকলাম অচলাবস্থা মেটাতে শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত ও চিন পরস্পরের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা চালাচ্ছিল। এই আলোচনায় ভারত তাদের স্বার্থ ও আগ্রহের ব্যাপারে চিনকে বোঝাতে পেরেছে।
এর ভিত্তিতে ডোকলামে যুযুধান সেনা কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলছে এই প্রক্রিয়া।
দেখুন বিবৃতিটি
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিকস বৈঠকে যোগ দিতে চিন যাবেন। তার আগে দু’দেশের মধ্যে এই বরফ গলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
পূর্ব হিমালয়ে ভুটানের ডোকা লা বা ডোকলাম এলাকায় জুন মাসে সেনা পাঠিয়ে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে চিন। ভুটানের জমি বাঁচাতে অঙ্গীকারবদ্ধ ভারত সেই কাজ রুখতে সেনা পাঠিয়ে দেয়। তখন থেকেই ২ মাস ধরে ভুটানে ভারত ও চিন দু’পক্ষের ৩০০ করে সেনা পরস্পরের মুখোমুখি রয়েছেন।
চিন বারবার সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারতকে চাপ দেওয়া সত্ত্বেও দিল্লি তার অবস্থান থেকে সরে আসেনি। বরং স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষের সেনাই সরিয়ে নিতে হবে। তারা আরও জানায়, ডোকলামে ওই রাস্তা ভারতের পক্ষেও নিরাপত্তাগত দিক থেকে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ এর ফলে অবশিষ্ট ভারতের সঙ্গে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম চিকেনস নেক খুব সহজেই দখল করে নিতে পারে শত্রুপক্ষ।
২ সপ্তাহ আগে লাদাখের প্যাংগং লেকের পাশে ভারত ও চিন সেনার রীতিমত হাতাহাতিও হয়। দিল্লি জানায়, চিনা সেনা জোর করে ভারতের জমিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল।