তবে এরমধ্যে একটি ইতিবাচক বিষয় হল প্রায় অর্ধেক ভারতীয়ই বিশ্বাস করেন সরকার বর্তমানে এই ঘুষ নেওয়ার প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ট জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে ৪০ শতাংশের বিশ্বাস গত বারো মাসে ভারতে দুর্নীতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে, ৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাঁরা চাইলে নিজেরাই দুর্নীতির সঙ্গে লড়তে পারেন, রোধও করতে পারেন।
ঘুষ নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষে রয়েছে। তার কিছুটা পিছনে রয়েছে ভিয়েতনাম। সেদেশে প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন পরিষেবা পেতে ঘুষ দিয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মূলত, স্কুলে ভর্তি, হাসপাতাল পরিষেবা, বিভিন্ন সরকারি নথি তৈরি করতে বা তার তাড়াতাড়ি ডেলিভারির জন্যে, পুলিশ বা আদলতের বিভিন্ন পরিষেবা পেতে মানুষকে ঘুষ দিতে হয়। ওই গবেষণাই বলছে ভারত, পাকিস্তান, তাইল্যান্ডের মতো দেশে মূলত দরিদ্রশ্রেণীর মানুষরাই এই দুর্নীতির শিকার। এদিকে চিনের মতো দেশে আবার ধনী সম্প্রদায়ের মানুষই উন্নতমানের পরিষেবা পাওয়ার জন্যে ঘুষ দেয়।
এই রিপোর্ট প্রকাশের পর বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, এখনই সরকারের উচিত্ দুর্নীতি রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। শুধু ভাষণ নয়, কাজের মাধ্যমেই এই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের সময় এবার এসে গেছে।