মুম্বই:  সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্তর্গত ষোলোটি দেশের মধ্যে একটি সমীক্ষা  চালিয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে, সমস্ত দেশের মধ্যে ভারতে ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে দশজনের মধ্যে সাতজন ভারতীয়ই কোনও কোনও পরিষেবা নিতে গিয়ে ঘুষ দিয়েছেন। সেখানে সমীক্ষা বলছে জাপানে দুর্নীতির পরিমাণ সবচেয়ে কম, সেখানে ঘুষ চাওয়ার প্রবণতাও কম। সমীক্ষা বলছে জাপানে মাত্র ০.২ শতাংশ ব্যক্তিকে বিভিন্ন পরিষেবা পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে।


তবে এরমধ্যে একটি ইতিবাচক বিষয় হল প্রায় অর্ধেক ভারতীয়ই বিশ্বাস করেন সরকার বর্তমানে এই ঘুষ নেওয়ার প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ট জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে ৪০ শতাংশের বিশ্বাস গত বারো মাসে ভারতে দুর্নীতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে, ৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাঁরা চাইলে নিজেরাই দুর্নীতির সঙ্গে লড়তে পারেন, রোধও করতে পারেন।

ঘুষ নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষে রয়েছে। তার কিছুটা পিছনে রয়েছে ভিয়েতনাম। সেদেশে প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন পরিষেবা পেতে ঘুষ দিয়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মূলত, স্কুলে ভর্তি, হাসপাতাল পরিষেবা, বিভিন্ন সরকারি নথি তৈরি করতে বা তার তাড়াতাড়ি ডেলিভারির জন্যে, পুলিশ বা আদলতের বিভিন্ন পরিষেবা পেতে মানুষকে ঘুষ দিতে হয়। ওই গবেষণাই বলছে ভারত, পাকিস্তান, তাইল্যান্ডের মতো দেশে মূলত দরিদ্রশ্রেণীর মানুষরাই এই দুর্নীতির শিকার। এদিকে চিনের মতো দেশে আবার ধনী সম্প্রদায়ের মানুষই উন্নতমানের পরিষেবা পাওয়ার জন্যে ঘুষ দেয়।

এই রিপোর্ট প্রকাশের পর বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, এখনই সরকারের উচিত্ দুর্নীতি রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। শুধু ভাষণ নয়, কাজের মাধ্যমেই এই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের সময় এবার এসে গেছে।