কিবিথু (অরুণাচল প্রদেশ): অরুণাচল প্রদেশে চিন সীমান্তে সেনার সংখ্যা বাড়াচ্ছে ভারত। দিবাং, দাউ-দেলাই ও লোহিত উপত্যকায় টহলদারিও বাড়ানো হয়েছে। ডোকলামে সংঘাতের পর তিব্বতের কাছে ভারতীয় সেনার এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।


সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, তিব্বত অঞ্চলটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল। সেখানে চিনা সেনাবাহিনীর কার্যকলাপের উপর নজরদারি বাড়ানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেকি করার জন্য আরও চপার আনা হচ্ছে। দিবাং, দাউ-দেলাই ও লোহিত উপত্যকায় চিনের আগ্রাসন রোখার জন্য ১৭ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার বরফাবৃত পর্বতমালা ও নদীবিশিষ্ট অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করাই ভারতের লক্ষ্য।

তিব্বত অঞ্চলে চিন সীমান্তে অরুণাচল প্রদেশে ভারতের পূর্বতম গ্রাম কিবিথুতে মোতায়েন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ডোকলাম-সংঘাতের পরবর্তী সময়ে আমরা সীমান্তে কার্যকলাপ বাড়িয়েছি। সেনাবাহিনী দীর্ঘ প্রহরা বাড়িয়েছে। ছোট দলে ভাগ হয়ে সেনাকর্মীরা ১৫ থেকে ৩০ দিন ধরে সীমান্তে টহল দিচ্ছেন। অরুণাচল প্রদেশে যাতে চিনের সেনাবাহিনী ঢুকে পড়তে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য তৈরি। আমরা চিন সীমান্তে সেনার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ভারত-চিন-মায়ানমার সীমান্ত অঞ্চল সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চলে নজরদারি বাড়িয়েছি।’

এই সেনা আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, তিব্বত অঞ্চল সহ বিভিন্ন জায়গায় ভারত সীমান্তে পরিকাঠামোর উন্নতি করছে চিন। এর মোকাবিলা করার জন্য ভারতকেও সীমান্ত অঞ্চলে রাস্তার উন্নতি করতে হবে।