নয়াদিল্লি: ভারতবর্ষকে এক বিচিত্র দেশ বলে বর্ণনা করলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তাঁর মতে, ভারতে মহিলাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধনী-গরিবের ব্যবধান বদল করা সহজ নয়। এর জন্য অনেক সময় লাগবে।



 

 

ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত প্রিয়ঙ্কা নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে ‘সামাজিক সাম্য’-এর প্রচার শুরু করেছেন। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেছেন, ‘ভারত এক সমস্যাবহুল দেশ। এটা কার্যত গোটা পৃথিবীর মতো। যেখানে সব রাজ্যের আলাদা বৈশিষ্ট, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ভাবনা-চিন্তা ও ধর্ম আছে। মহিলাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আগামীকালই বদল হয়ে যাবে এমন নয়।’

 

তবে মহিলাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য শুধু নিজের দেশকে দোষ দিতে রাজি নন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর মতে, সারা বিশ্বেই মহিলাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হয়। এই অবস্থার বদল হতে সময় লাগবে। সব মেয়ে যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের অধিকারের দাবি জানাবেন, তখনই পরিবর্তন হতে পারে।

 

প্রিয়ঙ্কার মতে, এই অসাম্যের যুগে মানবিক আচরণ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। পিছিয়ে থাকা অংশকে সমান সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এই অবস্থার বদল আনা যেতে পারে। সরকার সবাইকে সুযোগ-সুবিধা দিতে পারে। সেটা অবশ্যই দেওয়া উচিত। কিন্তু সরকার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বদল ঘটাতে পারে না। আমাদের নিজেদেরই বদলাতে হবে।



 

মায়েদের প্রতি প্রিয়ঙ্কার আবেদন, আপনার পুত্রসন্তানকে মেয়েদের সম্মান করতে শেখান। মেয়েরা যাতে নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে পারেন, তার জন্য তাঁদের সুযোগ দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। যুবসমাজের প্রতি তাঁর বার্তা, ছেলে হও বা মেয়ে, নিজের সেরাটা দাও।