আরএসএস প্রধান আরও বলেছেন, ‘মহেঞ্জোদারো, হরপ্পা সহ বিভিন্ন সভ্যতার যেখানে জন্ম হয়েছিল, সেই অঞ্চলগুলি এখন পাকিস্তানে। ভারত থেকেই সবকিছুর উৎপত্তি হয়েছে। তারপরেও কেন পাকিস্তান ভারতকে নাম বদল করতে বলেনি? তার বদলে ওরা ভারত নাম থেকে আলাদা হতে চাইছিল। কারণ, ওরা জানে ভারত নামটা এলেই হিন্দুত্ব আসবে। ভারত মানেই হিন্দুত্ব। সেজন্য ওরা ভিন্ন নাম নিয়েছিল।’
‘হিন্দু’ ভারতের প্রশংসা করে আরএসএস প্রধান বলেছেন, ‘হিন্দুত্বের কারণেই এত বৈচিত্র্যের মধ্যেও ভারতের ঐক্য বজায় আছে। আমাদের আত্মিক ঐক্য হিন্দুত্বের উপর দাঁড়িয়ে। সেই কারণেই ভারত হিন্দুরাষ্ট্র। অন্যরা অনেক কথা বললেও, সেই অনুযায়ী কাজ করে না। ভারত নিজের আচরণের মাধ্যমে অন্যদের শিক্ষা দেয়। সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের এই প্রকৃতিকে হিন্দুত্ব বলে জানে। সেই কারণেই ভারতবর্ষের লোকজনকে হিন্দু বলা হয়। যদি ভারতের জনগণ হিন্দুত্বের ভাবাবেগ ভুলে যান, তাহলে দেশের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভাগবত বলেছেন, ‘পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর মিল থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের বাঙালিরা ভারতের সঙ্গে মিশে যাননি? কারণ, তাঁদের মধ্যে হিন্দু ভাবাবেগ নেই। হিন্দু ভাবাবেগ ভুলে গেলে, ভারত ভেঙে টুকরো হয়ে যাবে।’
আরএসএস প্রধানের মন্তব্য, ভারতের জনগন যদি হিন্দুত্ব ভাবাবেগ ভুলে যায়, তাহলে তাদের সঙ্গে দেশের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেছেন, পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার সময় নতুন ওই দেশটি ভারতে যোগ দেয়নি। কারণ, হিন্দু ভাবাবেগের অভাব।
গো-রক্ষা ও কৃষিতে গো-নির্ভরতাকেই কৃষকদের দুঃখদুর্দশা সমাধানের একমাত্র উপায় বলেও বাতলেছেন ভাগবত।