গাঁধীনগর: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতির কথা বললেন নরেন্দ্র মোদী, শিনজো অ্যাবে। আল কায়েদা ও পাকিস্তানের মাটিতে বেড়ে ওঠা জয়েশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবার মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির মোকাবিলায় সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছেন দুজনে।

এদিন দুই প্রধানমন্ত্রী ২০০৮-এর মুম্বই জঙ্গি হানা, ২০১৬-র পঠানকোট হামলার অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যেও বার্তা দেন।

তাঁদের বৈঠকের পর সম্প্রচারিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, উভয়েই ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদ ও উগ্র মৌলবাদের নিন্দা করেছেন কঠোরতম ভাষায়। যে কোনও চেহারা, চরিত্রের সন্ত্রাসবাদই গোটা দুনিয়ার সামনে বিপদ এবং জঙ্গিপনার সঙ্গে বিন্দু্মাত্র আপস নয়, এই মনোভাব নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমন্বয়ে গড়ে জোরের সঙ্গে এর মোকাবিলা করতে হবে, দুজনেই এ ব্যাপারে সহমত হয়েছেন।

পাকিস্তানের নাম না করেই তাঁরা সব দেশকে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আস্তানা, পরিকাঠামো সমূলে বিনাশ করতে, তাদের যাবতীয় নেটওয়ার্ক ও অর্থ সরবরাহের রাস্তা বন্ধ করে দিতে ডাক দিয়েছেন, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের যাতায়াত ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতেও বলেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁরা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পঞ্চম ভারত-জাপান বৈঠক ডাকা ও আল কায়েদা, আইসিস, জয়েশ, লস্কর এবং তাদের সহযোগীরা সহ নানা গোষ্ঠীর সন্ত্রাসবাদী বিপদের বিরুদ্ধে সহযোগিতা জোরদার করার ব্যাপারে মুখিয়ে রয়েছেন।

রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশগুলিকেও সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা সংক্রান্ত নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ প্রস্তাব ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবগুলি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।