নয়াদিল্লি: চিনের সতর্কতা অগ্রাহ্য করে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে মুখ খুলল ভারত-জাপান। কোনও দেশের নাম না করে তারা বলেছে, সমুদ্র সংক্রান্ত রাষ্ট্রপুঞ্জ নির্ধারিত যে আইনি নির্দেশিকা আছে, তা এ ক্ষেত্রে সকলের মেনে চলা উচিত। টোকিওয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে।


শুধু দক্ষিণ চিন সাগর নয়, বেজিংয়ের রক্তচাপ বাড়ানোর আরও উপাদান রয়েছে ওই বিবৃতিতে। ইরানে ভারত যে চাবাহার বন্দর গড়ে তুলছে, তাতে জাপানি সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়েও কথা হয়েছে দুই প্রধানমন্ত্রীর। পাক অধিকৃত বালুচিস্তানে চিনা সহযোগিতায় পাকিস্তান যে গদর বন্দর গড়ে তুলছে, তারই জবাব এই চাবাহার বন্দর। এটি তৈরি হয়ে গেলে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েই আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে দিল্লি বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে।

এই নিয়ে পরপর দু’বছর ভারত ও জাপান তাদের যৌথ বিবৃতিতে দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল। চিন ওই সাগরের সিংহভাগ এলাকায় নিজেদের অধিকার কায়েমের যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তা খারিজ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যাল। সে ব্যাপারে বিবৃতিতে সরাসরি কোনও উল্লেখ না থাকলেও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে শান্তিপূর্ণভাবে দক্ষিণ চিন সাগর সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা হোক। রাষ্ট্রপুঞ্জ এ ব্যাপারে যে আইন করেছে, তাকে সম্মান করুক সব পক্ষ।

প্রধানমন্ত্রীর এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাপান সফরে টানা নজর রাখছে বেজিং। এ সপ্তাহের শুরুতে তারা হুমকি দেয়, দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে দিল্লি মাথা ঘামালে ব্যবসা সংক্রান্ত বড়সড় লোকসান হবে তাদের। চাপের কাছে মাথা না নুইয়ে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে ভবিষ্যতে আরও উৎসাহ দেখাবে তারা।

চাবাহার বন্দর তৈরিতেও ভারত-জাপান সহযোগিতার বিষয়টি কীভাবে বাস্তবায়িত করা যায় খতিয়ে দেখতে দুই প্রধানমন্ত্রী তাঁদের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। চাবাহারের পরিকাঠামো যোগাযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে সম্ভাব্য জাপানি সহযোগিতা নিয়েও যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন বাংলাদেশেও বন্দর গড়বে দিল্লি