নয়াদিল্লি: ব্যবসার অনুকূল পরিবেশের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাঙ্কের তালিকায় এক ধাক্কায় ৩০ ধাপ এগোল ভারত। বিশ্বব্যাঙ্কের 'ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস' র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত ১৩০ তম স্থান থেকে এগিয়ে এল ১০০ নম্বরে। কর, লাইসেন্স প্রদান, লগ্নিকারীদের সুরক্ষা, দেউলিয়া সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসার মতো বিবিধ ক্ষেত্রে সংস্কারের কারণেই ভারতের এই অগ্রগতি।


গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবং পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) রূপায়ণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাঙ্কের এই র‌্যাঙ্কিং নিঃসন্দেহে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে স্বস্তি দেবে।

বিশ্বব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট 'ডুয়িং বিজনেস ২০১৮: রিফর্মিং টু ক্রিয়েট জবস'-এ মোদী সরকারের বিভিন্ন সংস্কার সংক্রান্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০০৩ থেকে ভারত যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, তারমধ্যে ৩৭ টি সংস্কারের অর্ধেকরই রূপায়ণ হয়েছে গত চার বছরে।

এই র‌্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য জিএসটি পরবর্তী যে ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা বিবেচনার মধ্যে রাখা হয়নি। জিএসটি-তে সারা দেশে এক বাজার ও এক কর নীতি চালু হয়েছে।

গতবার এই র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৯০ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ছিল ১৩০। ডুয়িং বিজনেস সূচকের ১০ টির মধ্যে ৮ টিতেই সংস্কার সাধন করে চলতি বছরের পর্যালোচনায় সেরা দশটি উন্নয়ণকারী দেশের মধ্যে অন্যতম ভারত।

তালিকায় এই প্রথম ১০০ টি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিল ভারত।

বড়দেশগুলির মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতই এক ধাক্কা এতটা এগিয়েছে।

যে মাপকাঠিগুলিতে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ভারত দারুন উন্নতি করেছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যবসা শুরু করার কাজ দ্রুত হওয়া, অনুমতি গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া কম হওয়া, ঋণের সহজলভ্যতা, ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের সুরক্ষা, কর প্রদান ব্যবস্থা সহজ হওয়া।

বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে আরও কয়েকটি ব্যাপারে উন্নতি হওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে কোনও ব্যবসা নথিভূক্ত করার ক্ষেত্রে এখন ৩০ দিন সময় লাগে। ১৫ বছর আগে এক্ষেত্রে ১২৭ দিন সময় লাগত। কিন্তু স্থানীয় উদ্যোগপতিদের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া সংক্রান্ত জটিলতা এখন কোনও কোনও ব্যাপারে রয়ে গিয়েছে।

বিশ্বব্যাঙ্কের গ্লোবাল ইন্ডিকেটর গ্রুপের ডিরেক্টর রিতা রামালহো ভারতের এই অগ্রগতিকে বড়সড় বলে অভিহিত করেছেন।

বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এরপর রয়েছে ডেনমার্ক,দক্ষিণ কোরিয়া ও হংকং। আমেরিকা ও ব্রিটেন রয়েছে যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে।