নয়াদিল্লি: ভারত ও পাকিস্তান একমত হল, পরস্পরের জেলে আটক মহিলা বন্দি ও ৭০-এর বেশি বয়সের বন্দিদের মুক্তি দিয়ে যার যার ঘরে পাঠিয়ে দেবে।
দু দেশ বয়স্ক, মহিলা ও শিশু, মানসিক প্রতিবন্ধী বন্দিদের মানবিক বিষয়গুলি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, ২০১৭-র অক্টোবরেই বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তান ওই ভাবনায় ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে।
মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, পরস্পরের জেলে আটক ৭০ ছাড়ানো বন্দিদের ছেড়ে দিয়ে যার যার দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও করেছিলেন সুষমা। মানসিক প্রতিবন্ধী বন্দিদের পরীক্ষা করে দেখা, এমন বন্দিদের ফেরত পাঠানোয় সাহায্য করতে মেডিকেল বিশেষজ্ঞ দলের সফরের আয়োজনও এরপর করা হবে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
এও ঠিক হয়েছে যে, পরস্পরের জেলে আটক জেলে ও অন্য বন্দিদের নানা বিষয় খতিয়ে দেখতে যুগ্ম বিচারবিভাগীয় কমিটির যাতায়াত ফের শুরু হবে। এই কমিটি শেষ ভারত সফরে এসেছিল ২০১৩-র অক্টোবরে। এই মানবিক বিষয়গুলির ব্যাপারে যে বোঝাপড়ায় একমত হয়েছে ভারত, পাকিস্তান, সেগুলি কার্যকর করার পদ্ধতি নিয়েও এবার আলোচনা হবে দু দেশের অফিসারদের মধ্যে।
পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল ইসলামাবাদে এর আগে বলেন, দু দেশে আটক সাধারণ বন্দিদের ব্যাপারে ভারতের দিক থেকে আসা মানবিক প্রস্তাবগুলি সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করে অনুমোদন করেছেন বিদেশমন্ত্রী খাজা আসিফ। পাক বিদেশমন্ত্রক জানায়, আসিফ আরও দুটি মানবিক প্রস্তাব দেন, ৬০ ছাড়ানো ১৮-র কম বয়সি শিশু বন্দি আদানপ্রদান করা হোক। বিদেশমন্ত্রী ভারত পাকিস্তানের প্রস্তাবগুলিতে সাড়া দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান সার্বিক আলোচনার পথে এগবে, বর্তমানে যে চরম কলুষিত আবহাওয়া রয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় যে উত্তেজনা রয়েছে, তা প্রশমন করার জন্য সচেতন প্রচেষ্টা চালাবে, এটাই তাঁর বাসনা।