নয়াদিল্লি: আকস্মিক যুদ্ধ বাঁধলে, দেশের সামরিক বাহিনী যাতে প্রস্তুত থাকে, তার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের একাধিক চুক্তি করল ভারত।


কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, দেশের সামরিক বাহিনী যাতে যে কোনও যুদ্ধ-পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সদাপ্রস্তুত থাকে, তার জন্য গত কয়েকমাসে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।


বিশেষ করে, অস্ত্র ও গোলাবারুদের অপ্রতুলতা নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের সামনে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন সামরিক প্রধানরা। সেই প্রেক্ষিতে অস্ত্রভাণ্ডার থেকে শুরু করে রণসম্ভার যাতে যথাযথ পরিমাণে মজুত থাকে, তার ওপর বিশেষ নজর দিচ্ছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।


প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধ বাঁধলে, সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ১০ দিন লড়াই চালানোর মত রসদ যাতে অন্তত মজুত থাকে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র। তিনি জানান, গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর উরি হামলার পর কেনার বিষয়ে আরও তৎপর হয়ে ওঠে কেন্দ্র।


জানা গিয়েছে, মূলত রাশিয়া, ইজরায়েল ও ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। একইসঙ্গে, তিন বাহিনীর প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিজ নিজ বিভাগের খামতির তালিকা যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করতে, যাতে তা অবিলম্বে পূরণ করা যায়।


এবারের বাজেটে প্রতিরক্ষার মূল খরচ (ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার) বাবদ প্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যদিও, এর মধ্যে বাহিনীর আধুনিকীকরণমুখী প্রকল্পের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে খামতি ভরাটের জন্য।


যেমন, সম্প্রতি ৯,২০০ কোটি টাকা মূল্যের ৪৩টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে সুখোই-৩০এমকেআই, মিরাজ-২০০০ এবং মিগ-২৯ এর মত যুদ্ধবিমান ও আইএল-৭৬, মিড এয়ার রিফুয়েলার আইএল-৭৮ এবং ফ্যালকন অ্যাওয়াক্স-এর জন্য অস্ত্র ও খুচরো যন্ত্রাংশের বরাত দেওয়া হয়েছে।


অন্যদিকে, স্থলসেনাও পিছিয়ে নেই। এক রুশ সংস্থার সঙ্গেই প্রায় ৫,৮০০ কোটি টাকার চুক্তি করেছে তারা। এর মধ্যে যেমন নতুন ইঞ্জিন রয়েছে, তেমনই বাহিনীর টি-৯০ ও টি-৭২ ট্যাঙ্কে ব্যবহৃত কঙ্কার এটিজিম ও স্মার্চ রকেটে লাগানোর জন্য বিশেষ ১২৫ এমএম ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী গোলার বরাত দেওয়া হয়েছে।