নয়াদিল্লি: চিনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ফোরাম ঔপনিবেশিক দখলদারির প্রচেষ্টা, অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব খর্ব করা ছাড়া এর কোনও উদ্দেশ্য নেই। বেজিংয়ে এই ফোরামে যাওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিল দিল্লি।


কেন্দ্র জানিয়েছে, কোনও দেশই এমন কোনও প্রকল্প মেনে নিতে পারে না, যা তার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক সংহতি সম্পর্কিত উদ্বেগগুলিকে অস্বীকার করে।

আজ থেকে বেজিংয়ে শুরু হয়েছে এই ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বা ওবিওআর ফোরাম। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনের উদ্বোধনে ভারতের নাম না করে বলেছেন, সব দেশেরই উচিত, অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব ও তাদের উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে সম্মান করা। এই প্রকল্পে গোটা বিশ্বের মানুষ উপকৃত হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

ভারত বয়কট করলেও ফোরামে রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এর্দোগান প্রমুখ। আমেরিকাও তাদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। রয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জ, আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্কের শীর্ষ আধিকারিকরা।

এই ফোরামের মাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার মধ্যে একটি পথ তৈরির উচ্চাকাঙ্খী প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে চিন। সিল্ক রোড নামে এই প্রকল্পের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তারের লক্ষ্যে তারা।

চিন অবশ্য ভারতকে এই ফোরামে আনতে চেষ্টার ত্রুটি করেনি। এমনকী না গেলে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করার হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতের বক্তব্য, যেভাবে দিল্লির আপত্তি অগ্রাহ্য করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওপর দিয়ে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসি নির্মাণ চলছে, তা তাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এই সিপিইসি-ও ওবিওআর-র অঙ্গ। কেন্দ্র মনে করছে, সব কিছু জেনেও যদি তারা বেজিংয়ের ওই ফোরামে যেত, তবে তা প্রকারান্তরে সিপিইসি-কে স্বীকৃতি দেওয়া হত।