রাষ্ট্রপুঞ্জের এক সমাবেশে আকবরউদ্দিন বলেছেন, প্রতিদিন কোথাও না কোথাও জঙ্গি সন্ত্রাসে মানুষের সমষ্টিগত বিবেক ছারখার হয়ে যাচ্ছে। অথচ সেই জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বসানো হবে কিনা তা নিয়ে ৯ মাস ধরে ভেবেই চলেছে পরিষদ। যদিও ওই গোষ্ঠীই বুক বাজিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, তারা জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত। আরও পড়ুন জইশ প্রধান মাসুদ আজহার সন্ত্রাসবাদী, বললেন মুশারফ
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলির সিংহভাগের আজহারকে জঙ্গি তকমা দিয়ে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা বসানোয় আপত্তি নেই। ব্যতিক্রম শুধু চিন। এ বছরের শুরুতেও স্রেফ তাদের আপত্তিতে রাষ্ট্রপুঞ্জ আজহারকে জঙ্গি তকমা দিতে পারেনি। টেকনিক্যাল খুঁটিনাটিগত আপত্তি তুলে ভারতের দাবিতে নিরাপত্তা পরিষদের সিলমোহর বসাতে দেয়নি তারা। ৬ মাসের সময়সীমা কেটে যাওয়ার পর আবার বেজিং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৩ মাস সময় চেয়েছে।
যেভাবে শামুকের গতিতে নিরাপত্তা পরিষদের কাজকর্ম এগোচ্ছে, যেভাবে চলছে অন্তহীন আলোচনা প্রক্রিয়া, তারও কড়া সমালোচনা করেছে দিল্লি। তাদের বক্তব্য, পরিষদের এই মুহূর্তে সার্বিক সংস্কার প্রয়োজন, যাতে আন্তর্জাতিক বিশ্বের বর্তমান সমস্যায় তারা প্রয়োজনমত সাড়া দিতে পারে। মানবিক পরিস্থিতি, জঙ্গি সন্ত্রাস ও শান্তিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ যে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে, তারই খেসারত দিতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে।