২০০৬ থেকে বিশ্ব গণতন্ত্র সূচক চালু করে ইকমনিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এবারই সবচেয়ে খারাপ ফল করল ভারত। এর কারণ হিসেবে নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া, রাজ্য ভাগ করে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা, উপত্যকায় প্রচুর সেনা মোতায়েন করা, দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা, অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ইকমনিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের রিপোর্টে।
৬০টি সূচকের ভিত্তিতে দেশগুলিকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলি হল পূর্ণ গণতন্ত্র, খুঁতযুক্ত গণতন্ত্র, কঠোর শাসন ও একনায়কতন্ত্র। নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও বহুদলীয় ব্যবস্থা, সরকারের কাজকর্ম, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নাগরিক স্বাধীনতার ভিত্তিতে দেশগুলিকে নম্বর দেওয়া হয়েছে। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে ভারত এখন আট নম্বরে। ভারতের আগে মালয়েশিয়া, তাইওয়ানের মতো দেশগুলি। ভারতের গণতন্ত্র ভুলে ভরা বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।