নয়াদিল্লি: বিনা প্ররোচনায় বারবার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন। পাকিস্তানের আচরণ এবার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আর বরদাস্ত করা হবে না এরকম কোনও ঘটনা। ঠিক এরকম কড়া ভাষাতেই পাক হাই কমিশনারকে বার্তা দিল ভারত।

শুক্রবার ভোররাত থেকে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে টানা গোলা গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। একাধিক সেনা সহ কাশ্মীরের বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যে ঘটনায়। গুরুতর আহত আরও অনেকে।

উরি প্রদেশে নেমে এসেছে চলতি বছরের সবথেকে বড় আক্রমণ। বিএসএফের ৪ জওয়ান, ১ সাব ইনসপেক্টর, সহ মোট ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যার মধ্যে ৬ জন সাধারণ নাগরিক। গুরুতর আহত জনা বারো। আক্রমণের পালটা জবাব দিয়েছিল ভারতীয় সেনাও। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক শত্রুঘাঁটি।

গোলাগুলিতে উত্তরের পালা শেষে এবার কূটনৈতিক স্তরেও পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করে দিয়েছে ভারত সরকার। বিদেশমন্ত্রক শনিবারই ডাক পাঠায় পাক হাই কমিশনারকে। জানিয়ে দেওয়া হয়, এভাবে উৎসবের মরশুমে সাধারণ ভারতীয়দের লক্ষ্য করে আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ভারত। শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কড়া বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানকে।



বিদেশমন্ত্রকের সংযোজন, পাকিস্তানের ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়ার চেষ্টা আগেও আটকানো হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। নিজেদের জমি ব্যবহার করার সুযোগ জঙ্গিদের না দিয়ে দ্বিপাক্ষিক শান্তি রক্ষার জন্য কাজ করুন।



এদিকে, লাগাতার গোলাগুলিতে রক্তাক্ত ভূস্বর্গে শান্তির খোঁজে সেখানকার বাসিন্দারা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) নেত্রী মেহবুবা মুফতি দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেই আবেদন রেখেছেন, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা ছেড়ে আলোচনার মাধ্যমে শান্তির রাস্তা খোঁজার।