সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, এদিন ওড়িশার বালাসোরের কাছে চাঁদিপুরের উপকূলে অবস্থিত ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা (ডিআরডিও)-র ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (আইটিআর)-এর মোবাইল লঞ্চিং প্যাড থেকে এই পরীক্ষা করা হয়।
এদিন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ভারত ও ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে তৈরি অত্যাধুনিক দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (এলআর-স্যাম) ‘বারাক-৮’।
জানা গিয়েছে, প্রথম পরীক্ষাটি হয়েছে সকাল ১০টা ১৩ মিনিট নাগাদ। দ্বিতীয়টি হয় আড়াইটে নাগাদ। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, দুটি পরীক্ষাই চূড়ান্ত সফল হয়েছে। জানা গিয়েছে, মিসাইলগুলি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে।
জানা গিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে তার সঙ্গে যুক্ত সর্বাধুনিক মাল্টি-ফাংশানাল সার্ভেল্যান্স অ্যান্ড থ্রেট রেডারের (এমএফ-স্টার) পরীক্ষাও হয়েছে। এই স্বয়ংক্রিয় রেডারের বিশেষত্ব হল, এটি আকাশে থাকা যে কোনও শত্রু-লক্ষ্যবস্তুকে অনায়াসে ধ্বংস করতে সক্ষম।
এর আগে গত ৩০ জুন এবং ১ জুলাই—মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই মিসাইটিও তৈরি হয়েছে ভারত ও ইজরায়েলের যৌথ উদ্যোগে।
তার আগে বারাক-৮’ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আইএনএস কলকাতা রণতরী থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের এর নৌ-সংস্করণের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, একবার সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ শেষ হলেই এই ক্ষেপণাস্ত্রকে তিন বাহিনীতেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে।