নয়াদিল্লি: ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর ফলে কোটি কোটি জীবন বিপন্ন। এমনই জানিয়েছে নীতি আয়োগ। আজ নীতি আয়োগের জল বিষয়ক সূচকের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অন্তত ৬০ কোটি ভারতীয় জলসঙ্কটে ভুগছেন। নিরাপদ জল না পেয়ে প্রতি বছর অন্তত দু’লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ৭৫ শতাংশ ভারতীয়র বাড়িতেই পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। ভারতের গ্রামগুলিতে ৮৪ শতাংশ বাড়িতেই নলের মাধ্যমে জল সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। ৭০ শতাংশ জলই কলুষিত। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৪০ শতাংশ নাগরিকই পানীয় জল পাবেন না। ২০২০ সালের মধ্যেই নয়াদিল্লি, চেন্নাই, হায়দরাবাদ সহ ২১টি শহরে ভূগর্ভস্থ জল শেষ হয়ে যাবে। ফলে ১০ কোটি মানুষ সমস্যায় পড়বেন।


জলের মানের সূচকে সারা বিশ্বের ১২২টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১২০। এই পরিস্থিতিতে নীতি আয়োগের রিপোর্ট অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা দেশে ভূগর্ভস্থ জল কমে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে জোগানের তুলনায় জলের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। অবিলম্বে যদি এই সমস্যা দূর করার জন্য ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতির অবনতি হবে। জলসঙ্কটের ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপি-র ৬ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে।

নীতি আয়োগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, জলসম্পদ রক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল কাজ করেছে গুজরাত। মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রও ভাল কাজ করেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের।