ভারতের বিদেশ সচিব পাক হাইকমিশনারকে জানিয়েছেন, যে দুই গাইড জঙ্গিদের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিল, তারা গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়েছে। ওই দুজন এখন হেফাজতে রয়েছে।
ওই দুই গাইডের একজন ফয়জল হুসেন আওয়ান (২০)-এর বাবা গুল আকবর মুজাফ্ফরাবাদের পোথা জাহাঙ্গিরের বাসিন্দা। দ্বিতীয় গাইড ইয়াসিন খুরশিদ (১৯)। তার বাবা মহম্মদ খুরশিদ মুজাফ্ফরাবাদেরই খিলিয়ানা কালানের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, গতকালই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ কাশ্মীর নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। স্বরাজ বলেছিলেন, যারা অন্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কথা বলছে, তাদের আত্মসমীক্ষা করা উচিত। এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বালুচিস্তানে পাকিস্তানের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। উল্লেখ্য, এই প্রথম রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে এই প্রথম ভারত বালুচিস্তান প্রসঙ্গ তুলল।
স্বারজ আরও বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদে পাক মদতের জলজ্যান্ত প্রমাণ ভারতের হাতে রয়েছে।
গত বুধবারই বাসিতকে তলব করে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, উরিতে হামলার ঘটনায় ফের প্রমাণ হয়েছে যে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামো এখনও সক্রিয়। উরিতে নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া জিপিএস সেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যও বাসিতকে জানান জয়শঙ্কর। জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশের সময়, পরে কোন পথে তারা হামলার জায়গায় পৌঁছল, তা জিপিএস সেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে। তাছাড়া পাকিস্তানের ছাপ মারা গ্রেনেডও উরি হামলায় ব্যবহার করে জঙ্গিরা।
জয়শঙ্কর বাসিতকে মনে করিয়ে দেন যে, ২০০৪-এ তাদের ভূখণ্ড বা তাদের নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড ভারতের বিরুদ্ধে হামলার জন্য জঙ্গিদের ব্যবহার করতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানের পূরণ না করাটা খুবই উদ্বেগজনক বলেও বাসিতকে জানিয়ে দেন ভারতের বিদেশ সচিব।