ঘটনার পর বেশ কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও সীমান্তের ওপারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। গভীর রাতে পাক বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি জারি করে বলে, আমরা বরাবর উপত্যকায় মারাত্মক হিংসামূলক কাজকর্মের নিন্দা করেছি। বিবৃতিতেই গতকালের নাশকতায় ভারতের তোলা পাকিস্তানি যোগসাজশের অভিযোগ উড়িয়ে বলা হয়, কোনও তদন্ত, অনুসন্ধান ছাড়াই ভারত সরকারের লোকজন ও ওখানকার মিডিয়ায় সন্ত্রাসবাদী হামলার ব্যাপারে পাক যোগসূত্র দেখানোর যে কোনও চেষ্টা জোরালো ভাবে খারিজ করছি আমরা।
যদিও গতকালের পর পাকিস্তানের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। এই প্রেক্ষাপটেই আজ নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের শীর্ষ দূতকে তলব করে পুলওয়ামার হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের প্রাণহানির তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিদেশসচিব বিজয় গোখেল তলব করেন ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সোহেইল মেহমুদকে। তাঁকে বলেন, জয়েশের বিরুদ্ধে ‘অবিলম্বে খতিয়ে দেখার যোগ্য পদক্ষেপ’ করতে হবে।সন্ত্রাসবাদে যু্ক্ত সংগঠন, ব্যক্তিদের এখনই তাদের ভূখণ্ড থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানো থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে পাকিস্তানকে। কোনও তদন্ত ছাড়াই তাদের দিকে আঙুল তোলা ঠিক নয়, পাকিস্তানের এই বক্তব্যও খারিজ করেন তিনি।
জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করায় যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করায় ভারত দৃঢ় ভাবে দায়বদ্ধ বলে জানিয়ে বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিপদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমান দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমরা। আমাদের দাবি, পাকিস্তান তার মাটিতে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন বন্ধ করুক, অন্য দেশগুলিতে হামলা চালাতে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি পরিচালিত পরিকাঠামো ধ্বংস করুক।
ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউস বিবৃতি দিয়ে পুলওয়ামার হামলার নিন্দার পাশাপাশি সব সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে 'সমর্থন' ও 'নিরাপদ আশ্রয়' দেওয়া বন্ধ করতে বলেছে পাকিস্তানকে।