বঙ্গোপসাগরের ওপর আকাশপথে মানবহীন বায়ুযান ‘বাঁশি’ থেকে ছেড়ে দেওয়া চলন্ত টার্গেটকে নির্ভূলভাবে আঘাত করে আইটিআর-এর লঞ্চ প্যাড-৩ থেকে ওড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি। প্রতিরক্ষা কর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ট্রটির গোটা সিস্টেমের মধ্যে আছে মাল্টিফাংশনাল সার্ভিলেন্স অ্যান্ড থ্রেট অ্যালার্ট রাডারও। ক্ষেপণাস্ট্রটিকে গাইড করবে এটি। ডিআরডিও-র এক বিজ্ঞানী বলেছেন, আকাশে যে কোনও দিক থেকে আসা বিপদের মোকাবিলা করে তাকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে এই মিসাইলের।
তিনি জানিয়েছেন, হায়দরাবাদের ডিআরডিও-র ল্যাবরেটরি রিসার্চ সেন্টার ইমারাত ইজরায়েল এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্মাণ করেছে।
প্রসঙ্গত, বছরে এ ধরনের ১০০টি মাঝারি ও দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে ছোঁড়ার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য নতুন একটি ইউনিটই খোলা হয়েছে মেসার্স ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেডে।
গত ৩০ ডিসেম্বর দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে ছোঁড়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উতক্ষেপণে সফল হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। প্রতিরক্ষা সূত্রে বলা হচ্ছে, বর্তমানে ভারতের ভাণ্ডারে ক্ষেপণাস্ত্রের যে ঘাটতি রয়েছে, তা পুষিয়ে দেওয়া যেতে পারে এ ধরনের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে, যেগুলি ৫০ থেকে ৭০ কিমি পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম।