নয়াদিল্লি: উরি হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বাড়াল ভারত। সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে আসন্ন সার্ক সম্মেলনে অংশ নেবে না নয়াদিল্লি! পাকিস্তানের নাম না করলেও, স্পষ্ট ইঙ্গিতে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে লাগাতার মদত যুগিয়ে যাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত।


ভারত স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে তারা ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন বয়কট করছে। সূত্রের খবর, ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে আফগানিস্থান, বাংলাদেশ এবং ভুটানও সার্ক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লাগাতার বেড়ে চলা সীমাপার সন্ত্রাসবাদ এবং সার্ক ভুক্ত একটি দেশের, অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথাগলানোর জেরে, বর্তমান সময়ে সফলভাবে সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদে প্রস্তাবিত সার্ক সম্মেলনে ভারত অংশ নিচ্ছে না। সার্কভুক্ত আরও কয়েকটি দেশও ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে।

ভারত সহ একাধিক দেশ বয়কটের ডাক দিলে সেক্ষেত্রে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, একটি দেশও নাম প্রত্যাহার করে নিলে, সেক্ষেত্রে সার্ক সম্মেলন বাতিলও হতে পারে। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে যদি বাংলাদেশ, আফগানিস্থান এবং ভুটানও সার্ক সম্মেলন বয়কট করে সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের উপর প্রবল চাপ তৈরি হবে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জে দাঁড়িয়ে আফগানিস্থানের ভাইস প্রেসিডেন্টও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার অভিযোগে সরব হন। বাংলাদেশে জামাত জঙ্গিদের মদত দেওয়া নিয়ে ঢাকাও মাঝেমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আর ভুটানের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক বরাবরই ভাল। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় কার্যত একঘরে হয়ে পড়তে পারেন নওয়াজ শরিফরা। তাই তাদের এখন একমাত্র ভরসা চিন। ভারত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি রদ করলে, সেক্ষেত্রে চিনও ব্রহ্মপুত্রের জল আটকে ভারতকে সমস্যায় ফেলতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ইসলামাবাদ।

চিন অবশ্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কোনও কথা বলেনি। চিনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সখ্য এবং ভারতের সঙ্গে তাদের বৈরিতা দীর্ঘদিনের। কিন্তু, পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে সরাসরি ভারতের ক্ষতি করার পথে শি জিনপিং-লি খচ্যিয়াংরা হাঁটবেন কি না, তার উত্তর সময়ই দেবে।