নয়াদিল্লি: ভারতীয় সামরিক বাহিনী-তে নতুন পদের ঘোষণা নরেন্দ্র মোদির। দেশের ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলন অনুষ্ঠানে এই ঘোষণাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নৌসেনা, স্থলসেনা ও বায়ুসেনা- এই তিন বাহিনীর মাথায় থাকবেন একজন, যিনি সরকার এবং ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করবেন।  এদিন লালকেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলনের পর নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সামরিক বাহিনীর যোগাযোগকে আরও চৌখস করার লক্ষ্যে আমি আজ লালকেল্লা থেকে ঘোষণা করছি, শীঘ্রই ভারতের একজন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ থাকবেন। এরফলে ভারতের প্রতিরক্ষা আরও জোরাল হবে।”





প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ভারত-পাক কার্গিল যুদ্ধের পরই সামরিক বাহিনীর যোগসূত্রকে আরও নিবিড় করার জন্য এই পদের প্রস্তাব করা হয়েছিল। ১৯ বছর পর সেই প্রস্তাবকে বাস্তবায়িত করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। কে বসবেন এই পদে? এই বিষয়ে কিছু না জানালেও প্রধানমন্ত্রী এই পদাধিকারীর কাজ সম্পর্কে স্বচ্ছ ভাবনা ব্যক্ত করেছেন তিনি। জল-স্থল-বায়ু, ভারতের এই তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রাখাই হবে তাঁর প্রধান কাজ। সামরিক বাহিনীর তরফে এমন একটি পদের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করা হচ্ছিল। এবার মোদি মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রীরাও দেশেরে নিরপত্তার স্বার্থে ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’-এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন।  ২০১২ সালে নরেশচন্দ্র টাস্ক ফোর্সও একজন স্থায়ী চিফ ডিফেন্স স্টাফের পক্ষে সওয়াল করে। এবার তা কার্যকর করার পথে হাঁটছে ভারত সরকার।


প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভিপি মালিক ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এই পদক্ষেপ দেশের নিরাপত্তায় সক্রিয় ভূমিকা নেবে। অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান ভিপি মালিক ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। এই পদক্ষেপ আমাদের দেশের নিরাপত্তাকে আরও জোরাল করবে। কুর্ণিশ।” প্রাক্তন উপসেনাপ্রধান সুব্রত সাহাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।