নয়াদিল্লি: ভারত মহাসাগরে চিনা আগ্রাসণ রুখতে এবং দেশের উপকূলে নজরদারি বাড়াতে মার্কিন সংস্থা বোয়িং-এর থেকে অতিরিক্তি চারটি অত্যাধুনিক ‘পোসাইডন-৮আই’ দূরপাল্লার সমুদ্রপথ নজরদারি এবং সাবমেরিন-বিধ্বংসী বিমান কিনছে ভারত।

ইতিমধ্যেই এই সংস্থার থেকে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে এধরনের ৮টি বিমান কিনেছে ভারত। এদিন অতিরিক্ত চারটি বিমানের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই মুহূর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষা সহ-সচিব ফ্র্যাঙ্ক কেন্ডাল ভারত সফরে এসেছেন। তাঁর লক্ষ্য, দুদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্কের আরও উন্নতি ঘটানো। এদিনের চুক্তির ফলে, দুদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক চুক্তির মূল্য বেড়ে দাঁড়াল ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এর আগে, গত বছরই মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি ফরেন মিলিটারি সেলসের (এফএমএস) মাধ্যমে ২২টি অ্যাপাচে যুদ্ধ-কপ্টার এবং ১৫ চিনুক হেভি-লিফট কপ্টার কেনার চুক্তি করেছিল ভারত। চুক্তিমূল্য ছিল ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪৫টি এম৭৭৭ লাইট-ওয়েট হাউইৎজার ফিল্ড গান কেনার ভাবনা চিন্তা করছে ভারত।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘পোসাইডন-৮আই’ বিমানের ফলে, নৌসেনার শক্তি অনেকটাই বেড়ে যাবে। কারণ, এই বিশেষ বিমানে রাখা যায় ঘাতক হারপুন মিসাইল, টর্পিডো, রকেট সহ বিভিন্ন রকমের সামরাস্ত্র। ইতিমধ্যেই, যে ‘পি-৮আই’ বিমানগুলি ভারতের হাতে এসে পৌঁছেছে, সেগুলি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগরের কোথায় চিনা সাবমেরিনগুলির অবস্থান অনায়াসেই বলতে পারে এই অত্যাধুনিক বিমান। এই বিমান ব্যবহার করেই, নৌ-আধিকারিকরা জানতে পারেন যে একটি চিনা পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ডুবোজাহাজ সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় এসেছে।

বিশ্বে, এই বিমানের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রেতা হল ভারত। পাশাপাশি, এর মাধ্যমেই ভারতকে প্রথম কোনও সামরিক বিমান বিক্রি করেছে বোয়িং। তামিলনাড়ুর রজলি নৌ-ঘাঁটি থেকেই পরিচালন করা হয় এই বিমানকে। ঘণ্টায় ৪৫০ মাইল বেগে উড়তে পারে এই বিমান। এর পাল্লা ৪,৫০০ নটিক্যাল মাইল।