নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন সম্পর্কে বড়সড় তথ্য সামনে এল। করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছে ভারত বায়োটেক কোম্পানি। তাদের দাবি, আগামী বছরই সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন মিলতে শুরু করবে। ভ্যাকসিনের দুটি ফোঁটা নাকে দেওয়া হবে। আইসিএমআরের সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে হাত মিলিয়ে কাজ করছে ভারত বায়োটেক।


সোমবার ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা ইল্লা বলেছেন, ভারতের বহু প্রতীক্ষিত এই করোনা ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

ইন্ডিয়ান স্কুল অফ বিজনেস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছেন, কোম্পানি আরও একটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। যা হবে ন্যাজাল ড্রপের মাধ্যমে এবং আগামী বছরের মধ্যেই তা প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে।
এরইমধ্যে মার্কিন কোম্পানি মডার্নার দাবি, তাদের ভ্যাকসিন ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকরী। তারা মারণ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছে বলে দাবি মডার্নার। দ্বিতীয় মার্কিন কোম্পানি হিসেবে মডার্না করোনা ভ্যাকসিনের সফল ট্রায়ালের দাবি করেছে। এর আগে ফাইজার দাবি করেছিল, তাদের করোনা ভ্যাকসিন করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ কার্যকরী।
ফাইজারের পর মডার্না দাবির পর মনে করা হচ্ছে যে, আমেরিকা ডিসেম্বরই এই দুটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিতে পারে। মডার্না তাদের ভ্যাকসিনের ৬ কোটি ডোজ ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে বলে খবর। যদিও দুটি কোম্পানির দাবির যথার্থতা ও তাদের ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষিত তা যাচাই করে দেখা হবে।
এরইমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মন্তব্য ভ্যাকসিন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের ভাঁটা ফেলতে পারে। হু-র প্রধান টেড্রোস অধানোম ঘেব্রিয়েসিস বলেছেন যে, ভ্যাকসিন আসার পরও তা এই করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ রুখতে তা পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। সোমবার ট্রেডস বলেছেন, আমাদের কাছে এখন যে উপায়গুলি রয়েছে, সেগুলির আরও পরিপূরক হবে ভ্যাকসিন। কিন্তু সেগুলির বিকল্প নয়। ভ্যাকসিন এলেও সতর্ককামূলক ব্যবস্থাগুলিতে কোনওরকম শিথিলতা দেখানো ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।