নয়াদিল্লি: ছায়াপথের সুপারক্লাস্টার। ২০ মিলিয়ন বিলিয়ন সূর্যের মত বড়। এই সুপারক্লাস্টারটি আবিষ্কার করেছেন পুনের ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা। নাম রেখেছেন সরস্বতী।


ব্রহ্মাণ্ডের এই অন্যতম বৃহত্তম প্রতিবেশী পৃথিবী থেকে ৪,০০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। বয়স ১০ বিলিয়ন বছরেরও বেশি।

গত বছর এই প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিকরাই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণা করেন।

এই সুপারক্লাস্টারের সন্ধান পেয়েছেন শিশির সাংখ্যায়ন, পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের জনৈক পিএইচডি ছাত্র। এছাড়াও দলে ছিলেন জামশেদপুরের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির প্রকাশ সরকার, ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের রিসার্চ ফেলো প্রতীক দাভাড়ে ও কেরলের নিউম্যান কলেজের জো জ্যাকব।

আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রথম শ্রেণির রিসার্চ জার্নাল দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালের সাম্প্রতিকতম ইস্যুতে তাঁদের গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স জানিয়েছে, সুপারক্লাস্টাররা হল মহাজাগতিক দুনিয়ার সর্ববৃহৎ সুসংহত কাঠামো। এগুলি হল অসংখ্য ছায়াপথ ও ছায়াপথ পুঞ্জের শৃঙ্খল, পরস্পরের সঙ্গে অভিকর্ষ বলে যুক্ত। এরা মাঝে মাঝেই নিজেদের আকারের কয়েকশো গুণ বেশি প্রসারিত হয়ে চলেছে।

শিশির সাংখ্যায়ন জানিয়েছেন, এই সরস্বতী সুপারক্লাস্টার ৬০ কোটি আলোকবর্ষের বেশি নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছে, এর ভর ২০ মিলিয়ন বিলিয়ন সূর্যের থেকেও বেশি।

একটি ছায়াপথ গুচ্ছে ১০০০ থেকে ১০০০০টি ছায়াপথ থাকতে পারে। আবার সুপারক্লাস্টারে থাকতে পারে ৪০ থেকে ৪৩টি এমনই ছায়াপথ গুচ্ছ।

জার্নালে প্রকাশিত পেপারটির প্রধান লেখক পুনের এই প্রতিষ্ঠানেরই গবেষক জয়দীপ বাগচি। তিনি ও শিশির সাংখ্যায়ন জানিয়েছেন, বহু দূরের স্লোন ডিজিটাল স্কাই সার্ভেতে এই সুপারক্লাস্টারের খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা। তাঁদের আশা, এই আবিষ্কার হয়তো কোটি কোটি বছর আগে তৈরি হওয়া ম্যাটার-ডেনসিটি ক্লাস্টারের সৃষ্টি রহস্যভেদে সাহায্য করবে।