নয়াদিল্লি: ভোটের দামামা বাজিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে গিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। একদিকে প্রকল্পের পর প্রকল্পের উদ্বোধন, অন্যদিকে বায়ুসেনার পরাক্রমে নিয়ে বিরোধীদের নিশানা, দুই এক্সিলারেটরেই গতি বাড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এবার বাইরে থেকে যাতে কেউ দেশের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করতে চলেছেন মোদি। সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের চালান, মাদক পাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত সরকার। বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ছে নিরাপত্তা।


এতদিন সীমান্তরক্ষীরাই দায়িত্বে ছিল। এবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়তি নজরদারিতে সাহায্য নেওয়া হবে প্রযুক্তির। অসমের ধুবরি ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের প্রায় ৬১ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে বসতে চলেছে কম্প্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার সিকিউরিটি সিস্টেম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে যাকে বলা হচ্ছে, বর্ডার ইলেকট্রনিকালি ডমিনেটেড কিউআরটি ইন্টারসেপশন টেকনিক। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।


ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলের সিংহভাগই বালিয়ারি। চর বিশিষ্ট এই আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজরদারি চালাতে অনেক সময়ই বেগ পেত হয় সীমান্তরক্ষীদের। বিশেষ করে বর্ষার সময় কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হত বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকে। ২০১৭ সালেই ভারত সরকার চেয়েছিল বিএসএফের নজরদারির পাশাপাশি প্রযুক্তি নির্ভর নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি হোক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেই সেই প্রকল্প নিজেদের হাতে নেয় বিএসএফ। এবং কার্যত রেকর্ড সময়ের মধ্যেই তার কাজও শেষ করে তারা। এর ফলে এবার থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্রহ্মপুত্র নদীতীরের গোটা তথ্যই তালুবন্দি হয়ে যাবে তাদের।


সূত্রের খবর, মূলত মাইক্রোওয়েব কমিউনিকেশন, ওএফসি কেবলস, ডিএমআর কমিউনিকেশেন সহ বিভিন্ন ধরনের সেনসর ও  ক্যামেরার মাধ্যমেই এই নিরাপত্তা বলয় তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই মনে করছেন, এই নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে গলতে পারবে না মশা-মাছিও। এরপরও কোনও চোরাচালান এবং অপরাধের ঘটনা ঘটলে জওয়ান ও নিরাপত্তারক্ষীরা খুব দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারবে। প্রসঙ্গত, এই একই ধরনের ‘স্মার্ট ফেনসিং’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল ইন্দো-পাক সীমান্তেও। ৫ কিলোমিটার করে দুটি জায়গায় এমন প্রযুক্তি নির্ভর বেড়া তৈরি করা হচ্ছে জম্মু সীমান্তে।