যে নতুন ছটি ট্রেন চালু হল, সেগুলো হল
- নয়াদিল্লি এবং চণ্ডীগড়ের মধ্যে সপ্তাহে ছদিন ছুটবে তেজস এক্সেপ্রেস
- সপ্তাহে ছ দিন তেজস এক্সপ্রেস ছুটবে লখনউ এবং আনন্দবিহারের মধ্যে
- সপ্তাহে একদিন ছুটবে শিয়ালদা-জম্মু তাওয়াই হামসফর এক্সপ্রেস
- সপ্তাহে তিনদিন ইলাহাবাদ-আনন্দবিহারের মধ্যে ছুটবে হামসফর এক্সপ্রেস
- সপ্তাহে একদিন অন্ত্যোদয়া এক্সপ্রেস ছাড়বে দারভাঙ্গা এবং জলন্ধরের মধ্যে
- সপ্তাহে একদিন অন্ত্যোদয়া এক্সপ্রেস ছুটবে বিলাসপুর-ফিরোজপুরের মধ্যে
এই নতুন ট্রেন ছাড়া যেসমস্ত ট্রেন সপ্তাহে একদিন বা দুদিন ছাড়ত, সেগুলোর ছাড়ার দিনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে ১২৫৯৫/১২৫৯৬ এবং ১২৫৭১/১২৫৭২ গোরক্ষপুর-আনন্দবিহার হামসফর এক্সপ্রেস। এখন থেকে এই নম্বরের ট্রেনগুলি সপ্তাহে তিন এবং চারদিন ছাড়বে। উত্তর রেলের ৬৫টি ট্রেনের গতি বাড়ানো হয়েছে। তবে শুধু নর্দান রেলের নয়, দক্ষিণ রেলের ৫১টি এক্সপ্রেস এবং ৩৬টি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের গতি বাড়ানো হয়েছে। পূর্বের ৩৭টি এক্সপ্রেস এবং ১৯টি লোকাল ট্রেনের গতি বাড়ানো হয়েছে। শুধু ট্রেনের সংখ্যা বা গতি বাড়ানো নয়, রেল মন্ত্রকের তরফে নিশ্চিত করার চেষ্টা হয়েছে, যাত্রীরা যে শহরে যাচ্ছেন, সেখানে তাঁরা যেন সর্বোচ্চ সময় কাটাতে পারেন। আবার একই সঙ্গে ট্রেন ধরতে আসার সময় তাঁরা যেন অফিস টাইম এড়িয়ে যেতে পারেন, কারণ সেই সময়গুলোয় যেকোনও শহরে ট্র্যাফিকের গতি খুব স্লথ থাকে।
তবে রেল মন্ত্রক এই নতুন ট্রেন চালু হওয়া প্রসঙ্গে কোনওরকম প্রচার করতে পারবে না বলে এক নির্দেশ গত সপ্তাহে জারি করা হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। কারণ, গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে বেশিরভাগ নতুন ট্রেন আনা হয়েছে বলে জানানো হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। সেইজন্যে নতুন টাইম টেবিল চালু হওয়া প্রসঙ্গে প্রচার থাকলেও, নয়া ট্রেন চালু প্রসঙ্গে নীরবতা বজায় রেখেছে রেলমন্ত্রক।