প্রসঙ্গত, অভিযোগকারী মহিলা তাঁর সঙ্গে জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে ঘটা এই ঘটনার কথা ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করেছিলেন। যদিও পরে তিনি সেই পোস্ট ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন। এরপরই তত্পর হয়ে ওঠে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। ঘটনার সূত্রপাত গত ২৯ মার্চ। বেঙ্গালুরু থেকে ওই মহিলা আইসল্যান্ড যাচ্ছিলেন। মহিলার সঙ্গে ছিলেন তাঁর চার বছরের মেয়েও। মহিলার স্বামী আইসল্যান্ডেরই বাসিন্দা।
শ্রুতি বাসাপ্পা নামের ওই মহিলা ফেসবুকে জানিয়ে ছিলেন, তিনি ৬ বছর ধরে ইউরোপে রয়েছেন। এবার বেঙ্গালুরু থেকে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট হয়ে আইসল্যান্ড যাচ্ছিলেন। সেখানে বিমানবন্দরে ফুল বডি স্ক্যান হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর পোশাকের মধ্যে কোনও অস্ত্র লুকিয়ে রাখা আছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তল্লাশি করার কথা বলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তখন শ্রুতি জানান, দু সপ্তাহ আগেই তাঁর পেটে অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্রও জমা দেন তিনি। এরপরেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে পোশাক খোলার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে স্বামীকে ডেকে পাঠান শ্রুতি। তাঁর স্বামী আসার পরেই নিরাপত্তারক্ষীদের সুর বদলে যায়। শ্রুতির প্রশ্ন, ইউরোপের নাগরিক সঙ্গী বা সহযাত্রী সঙ্গে থাকলেই কি বাদামি চামড়ার মানুষ সন্দেহের উর্ধ্বে? তিনি একা থাকলে বা তাঁর স্বামী ইউরোপের নাগরিক না হলে তাঁর কী হত?
এ ঘটনা প্রসঙ্গে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরের যাত্রী তল্লাশি বিভাগের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে