অভিযোগকারিণীর নাম হুমেরা বেগম। ২৩ জুলাই রিয়াধ যান তিনি। যে এজেন্টের সঙ্গে কথা হয়, সে তাঁকে বলেছিল, উমরাহ করার সুযোগ পাবেন।
উমরাহ হল তীর্থ করতে মক্কায় যাওয়া, যা বছরে যে কোনও সময় যাওয়া যায়, হজের মত নয়, যা হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ে।
এছাড়া তাঁকে বলা হয়, ছোট একটি পরিবারের কেয়ারটেকারের কাজ দেওয়া হবে তাঁকে, মাইনে হবে মাসে ২৫,০০০ টাকা।
কিন্তু রিয়াধে পৌঁছে হুমেরা দেখলেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। উমরাহ তো হলই না, যে বাড়িতে কাজ মিলল, সেখানে রোজ নিগৃহীত হতে হত তাঁকে। খাবার দেওয়া হত না, মারধর করা হত। বাড়িতে ফোন করতেও পারতেন না তিনি। যখন খাবার পরিবেশন করতেন, তখন তাঁর হাত ধরে টানাটানি করত বাড়ির লোকেরা।
বোনের কোনও খবর না পেয়ে গত মাসে হুমেরার দিদি যোগাযোগ করেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে। ভারতীয় দূতাবাস তাঁর দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে।
বিদেশ মন্ত্রককে ধন্যবাদ দিয়ে হুমেরা জানিয়েছেন, আরও জনাপনেরো মহিলা ওভাবেই রিয়াধে বন্দি রয়েছেন। পালানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা কিন্তু উপায় নেই।