ভদোদরা: ভারতীয় সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয়দের বেশ কয়েকবার মারধর করা হয়েছে। সদ্য ছাড়া পাওয়া এক মৎস্যজীবী এমনই জানালেন। তিনি বলেছেন, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর আমাদের নিয়মবিরুদ্ধভাবে দুটি শিফটে কাজ করানো হত। জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাজে সন্তুষ্ট না হলেই মারধর করা হত।’


সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই দু ধাপে ৪৩৯ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। ২৫ ডিসেম্বর ২২০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৫ জানুয়ারি ২১৯ জনকে ছাড়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

যাঁদের আটকে রাখা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই গুজরাতের উপকূলবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা। এমনই একজন রামচন্দ্র ট্যান্ডেল। তিনি এক বছর আগে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়ার অপরাধে ওখা বন্দর থেকে গ্রেফতার হন। রামচন্দ্র জানিয়েছেন, প্রথমদিকে জেলে তাঁরা হিন্দি ছবি দেখার সুযোগ পেতেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে শুধু পাকিস্তানের ছবি দেখানো হয়েছে। তাঁরা পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে চিঠি দিয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে বলিউডের ছবি দেখানোর নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।

গুজরাতের মৎস্যজীবী সংগঠনের অভিযোগ, ভগবান সোলাঙ্কি নামে এক বন্দির পক্ষাঘাত হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তিনি স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি ছিলেন। তা সত্ত্বেও পক্ষাঘাত হওয়ায় জেব কর্তৃপক্ষের অবহেলা প্রমাণিত। তাঁর পরিবারকেও কিছু জানানো হয়নি। মানবিকতার খাতিরে পক্ষাঘাত হওয়ার পরেই ভগবানকে গুজরাতে পাঠিয়ে দেওয়া হলে তাঁর শারীরিক অবস্থার এতটা অবনতি হত না।