নয়াদিল্লি: ধনবন্টনে অসাম্যের মাপকাঠিতে রাশিয়ার পরেই ভারত। কালো টাকা নিয়ে হৈ চৈয়ের মধ্যে একটি রিপোর্টে জানা গেল, ভারতের মোট সম্পদের অর্ধেকের বেশি মুষ্টিমেয়র হাতে কুক্ষিগত রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়ায় ধনবৈষম্য বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। সেদেশে ৬২ শতাংশ সম্পদের মালিক ধনী ব্যক্তিরা। জোহানেসবার্গের সম্পদ সমীক্ষা সংস্থা নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েল্থ চলতি সপ্তাহের গোড়ায় এই তথ্য জানিয়েছে।


রিপোর্টে আরও বলেছেন, বিশ্বের ধনীতম ১০ টি দেশের ভারতের স্থান সপ্তম। অতি ধনীদের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ৫,৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এই সুবিশাল সম্পদের মালিক সামান্য কয়েকজন ধনী ব্যক্তি। দেশের সোয়াশ কোটির বেশি জনসংখ্যার নিরিখে তাঁদের সংখ্যা নিতান্তই সামান্য।জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশের হাতে পুঞ্জীভূত রয়েছে দেশের মোট সম্পদের ৫৪ শতাংশ। রিপোর্ট বলা হয়েছে, অধিকাংশ ভারতীয়ই বেশ গরিব।

গত দশ বছরে ধনীদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৪০০ শতাংশ।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধনসম্পদ বন্টনে যত অসাম্য থাকবে, সমাজে তত বেশি বৈষম্য থাকবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি ধনীরা দেশের মোট সম্পদের ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করেন, তাহলে মধ্যবিত্ত বলতে কোনও অর্থবহ শ্রেণী থাকবে না।

বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অসাম্য রাশিয়ায়। তাত্পর্যপূর্ণ ব্যাপার, জাপানে ধনবৈষম্য খুবই কম। সেদেশের মোট সম্পদের মাত্র ২২ শতাংশ ধনীদের হাতে রয়েছে।

এছাড়াও আমেরিকাকেও ধনবৈষম্য ততটা বেশি নয়।সেখানে ধনীদের কাছে রয়েছে মোট সম্পদের ৩২ শতাংশ। ব্রিটেনের ক্ষেত্রে এই হার সামান্য বেশি-৩৫ শতাংশ।

অতি ধনী বা বিলিওনিয়ারদের হাতে থাকা সম্পদের তালিকাতেও রাশিয়া প্রথম। সে দেশে বিলিওনিয়ারদের দখলে রয়েছে দেশের সম্পদের ২৬ শতাংশ। জাপানে এই হার মাত্র ৩ শতাংশ।