আরাভাকুরিচি (তামিলনাড়ু): ভোটের ময়দানে পা দিয়ে ‘হিন্দু সন্ত্রাস’ বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন কমল হাসান। মহাত্মা গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে ইঙ্গিত করে তাঁর মন্তব্য, ভারতের ‘প্রথম সন্ত্রাসবাদী ছিলেন এক হিন্দু!’
তামিল রুপোলি পর্দার জনপ্রিয় নায়ক কিছুদিন আগে খোলা নিজের রাজনৈতিক দল এমএনএম-এর প্রার্থীর সমর্থনে রবিবার রাতে এক জনসভায় এই মন্তব্য করেন।
কমল দাবি করেন, তিনি সেই ‘গর্বিত ভারতীয়দের’ একজন, যাঁরা এমন এক ভারত চান, যেখানে সকলের সমান অধিকার, সুযোগ আছে, যেখানে তেরঙ্গা পতাকার ‘তিনটি রং’-ই ‘অম্লান থাকবে’, অর্থাত ভিন্ন মতামত, বিশ্বাস মর্যাদা পাবে। তিনি বলেন, এই এলাকা মুসলিম অধ্যুষিত বলে কথাটা বলছি না, বলছি গাঁধীর মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে। স্বাধীন ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী ছিলেন একজন হিন্দু। তাঁর নাম নাথুরাম গডসে। সেই (সম্ভবত সন্ত্রাসবাদের) সূত্রপাত। ১৯৪৮এর গাঁধী হত্যার প্রসঙ্গ তুলে তিনি ‘সেই খুনের জবাব চাইতে’ এখানে এসেছেন বলেও মন্তব্য করেন কমল।
বলেন, সত্যিকারের ভারতীয়রা সমতা চান, তেরঙ্গা পতাকার তিনটি রং অক্ষত দেখতে চান। আমিও একজন প্রকৃত ভারতীয়, গর্বের সঙ্গেই এটা ঘোষণা করব।
২০১৭র নভেম্বরেও কমল ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদ’ নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্যের জন্য বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদীদের রোষের মুখে পড়েছিলেন।




প্রত্যাশিত ভাবেই বিজেপি তাঁর ‘প্রথম হিন্দু সন্ত্রাসবাদী’ মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, অভিনেতা কমল হাসান এখন গাঁধী হত্যার স্মরণ করে হিন্দু সন্ত্রাসের কথা বলছেন। এটা নিন্দনীয়। তামিলনাড়ুর উপনির্বাচনের প্রচারে সংখ্যালঘুদের মধ্যে দাড়িয়ে উনি ভোট পাওয়ার জন্য সংখ্যালঘু তোষণ করে ভয়ঙ্কর আগুন লাগাচ্ছেন। সাম্প্রতিক শ্রীলঙ্কা বিস্ফোরণ নিয়ে কিছু বলছেন না কেন?