বালেশ্বর:  অবশেষে ভারত আজ পরীক্ষা করল সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে প্রস্তুত পরমাণু সক্ষম আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল অগ্নি-৫-এর। আজ ওড়িশ্যার হুইলার দ্বীপপুঞ্জ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক সূচনা হল। প্রসঙ্গত, এটাই হল ভারতে তৈরি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র।

সূত্রের খবর, আইটিআর-এর কমপ্লেক্স ফোর-এর মোবাইল লঞ্চার থেকে ত্রিস্তরীয় এই ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণ করা হয়। এপ্রিল ২০১২-এ ওপেন কনফিগারেশনে পরীক্ষা করা হয় অগ্নি-৫এর। এরপর ২০১৩ সালে ফের দ্বিতীয়বার পরীক্ষা হয় এই পরমাণু ক্ষেপনাস্ত্রের। তারপর তৃতীয়বার পরীক্ষা করা হয় ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে। শেষবার এই ক্ষেপণাস্ত্রের কেনেস্তারা ভার্সানে উত্ক্ষেপণ করা হয়। জানা গিয়েছে এটাই অস্ত্রটিকে আরও মারাত্মক করে দিয়েছে, কারণ এর সাহায্যে ভারতের যেকোনও প্রান্ত থেকে হামলা চালানো যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে।

সূত্রের খবর, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ৫০০০ কিমি অবধি আক্রমণ চালাতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রের দৈর্ঘ্য ১৭ মিটার, প্রশস্তে ২ মিটার চওড়া এবং উত্ক্ষেপণের সময় এর ওজন ছিল ৫০ টনের আশেপাশে।

প্রসঙ্গত, অগ্নি সিরিজের অন্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর তুলনায় অগ্নি-ফাইভ প্রযুক্তিগত ভাবে অনেক বেশি উন্নত। উল্লেখ্য অগ্নি-৫ প্রথমবার পরীক্ষার সময় বহু নয়া প্রযুক্তি এর মধ্যে ঢোকানো হয়। প্রসঙ্গত, ‘রিনস’ অর্থাত্ ‘রিডানড্যান্ট নেভিগেশন সিস্টেম’ এবং ‘মাইক্রো নেভিগেশন সিস্টেম’ দুটোই ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রে। দুটোই ক্ষেপণাস্ত্রকে সঠিক ভাবে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে।

এছাড়া দ্রতগতি সম্পন্ন অন-বোর্ড কম্পিউটার এবং ফল্ট টলারেন্ট সফ্টওয়্যার রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রে।

ভারতের অস্ত্র ভাণ্ডারে এখন অগ্নি সিরিজের অগ্নি-১ রয়েছে, এটা ৭০০ কিমি দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম। অগ্নি-২ দু হাজার কিমি দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম, অগ্নি-৩ এবং অগ্নি-৪ ২,৫০০ থেকে ৩,৫০০ কিমি পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম। সূত্রের খবর অগ্নি-৫ আরও বেশ কয়েকবার পরীক্ষামূলক উত্ক্ষেপণের পর বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা শুরু হবে।