কুলু: ইন্দিরা গাঁধী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন দেশের প্রয়োজনেও নোটবাতিল করেননি। দলের স্বার্থ তাঁর কাছে দেশের ওপরে ছিল। যদি তিনি তখন নোটবাতিল করার সাহস দেখাতেন, তাহলে এতদিন পরে তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হত না। ৮ তারিখ নোটবাতিলের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি এভাবেই উড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


হিমাচল প্রদেশে ভোট প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যশবন্তরাও চহ্বনের নেতৃত্বে একটি প্যানেল ইন্দিরাকে নোটবাতিলের পরামর্শ দেয়। কিন্তু দলের কথা ভেবে তা করতে রাজি হননি তিনি। কংগ্রেসের কাছে দেশ কখনওই দলের থেকে বড় নয়। কংগ্রেস ও দুর্নীতি পৃথক করা সম্ভব নয়, তাদের সম্পর্ক গাছ ও তার শিকড়ের মত। তাদের সব নেতা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত, জামিনে রয়েছেন, আবার তাঁরাই বলছেন, দুর্নীতিতে লাগাম পরাবেন!

মোদীর দাবি, নোটবাতিলের ফলে ৩ লাখের মত জাল সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, এমন ৫,০০০ সংস্থার আর্থিক লেনদেনের তদন্তে ৪,০০০ কোটি টাকার জালিয়াতির খোঁজ মিলেছে। কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে, তিনি এবার বেনামি সম্পত্তি কেনাবেচা বন্ধ করতে আইন আনবেন, যারা বেনামিতে সম্পত্তি কিনেছে, পাকে পড়বে তারা।